যে পাপ অধিকাংশ মুসল্লি করে !



আল্লাহ তায়ালার বাণী,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلاَ يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ

হে মুমিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।

( হুজুরাত, আয়াত নং-১২ )

অত্র আয়াতে পারস্পরিক হক সামাজিক রীতি-নীতি ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে তিনটি বিষয় হারাম করা হয়েছে।

 এক - ধারণা করা।

 দুই­ - গোপন দোষ সন্ধান করা।

 তিন - গীবত করা।

আমরা যদি একটু খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাবো যে, এই তিনটি বিষয় আমাদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। জনসাধারণ থেকে শুরু করে আলেমদের মাঝেও বিদ্যমান রয়েছে। ফলে দিন দিন আমাদের পরিবার ও সমাজ শান্তির পরিবর্তে অশান্তির কুঠিরে পরিণত হচেছ।

আসুন জেনে নেই ইসলামের দৃষ্টিতে এসব পাপকারীর পরিণাম কী হবে।

এক ধারণা করা অর্থাৎ সৎ আল্লাহভীরু ভালো লোকদের ব্যাপারে এমন ধারণা পোষণ করা, যা মন্দ অথচ ভিত্তিহীন এবং যা মিথ্যা অপবাদের আওতায় পড়ে। পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকলে শুধু ধারণা করে কোন কথা বলা যাবে না। যে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা নেই সে সম্পর্কে ধারণা করতে আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَ لَا تَقۡفُ مَا لَیۡسَ لَکَ بِهٖ عِلۡمٌ ؕ اِنَّ السَّمۡعَ وَ الۡبَصَرَ وَ الۡفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنۡهُ مَسۡـُٔوۡلًا 

যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় - ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে।

( সুরা বানী ইসরাঈল, আয়াত নং- ৩৬ )

কুধারণা নয় বরং সুধারণা পোষণ করতে হবে, এতে সোয়াব রয়েছে।

যেমন রাসূল সা. বলেন,

حُسْنُ الظَّنِّ مِنْ حُسْنِ الْعِبَادَةِ

সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ।

( আহমাদ , আবু দাউদ )

 জাবের রা. তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী করীম সা.-কে তাঁর মৃত্যুর তিনদিন পূর্বে বলতে শুনেছি,

لاَ يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلاَّ وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللهِ عَزَّ وَجَلَّ

তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ ব্যতীত মৃত্যুবরণ না করে।

( মুসলিম )

অন্য এক হাদীসে আছে,

আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন সে আমার সম্বন্ধে ধারণা রাখে। এখন সে আমার প্রতি যা ইচ্ছা ধারণা রাখুক।

 ( মুসনাদে আহমাদ )

অত্র হাদীসদ্বয় থেকে জানতে পারলাম যে, আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা পোষণ করা ফরয এবং কুধারণা পোষণ করা হারাম।       অনুরুপভাবে, যে সকল মুসলিম বাহ্যিক দিক থেকে সৎকর্মপরায়ণ তাদের সম্পর্কেও খারাপ ধারণা পোষণ করা যাবে না।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,

إِيَّاكُمْ وَ الظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ

তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর।

( বুখারী, মুসলিম )

দুই­ - কারো গোপন দোষ সন্ধান করা।

কারো গোপন দোষ তালাশ করে তা জনগণের মাঝে প্রচার করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। এতে করে সমাজে ব্যক্তিকে অপমান করা হয়। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই এ থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

যেমন হাদিসে এসেছে - মহানবী সা: বলেছেন, মুসলমানদের গিবত করো না এবং তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কেননা, যে ব্যক্তি মুসলমানের দোষ অনুসন্ধান করে আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আল্লাহ যার দোষ খোঁজ করেন, তাকে নিজ গৃহেও লাঞ্ছিত করে দেন।

 ( তাফসিরে কুরতুবি )

মু'আবিয়া রা. বলেনঃ আমি নিজে রাসূলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি: তুমি যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় জানার জন্য পেছনে লাগো। তাদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে কিংবা অন্তত বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে পৌছে দেবে।

( আবু দাউদ )

এজন্য রাসূলুল্লাহ সা. থেকে উম্মাহকে নিষেধ করেছেন।

তিনি সা. বলেন,

لاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا

তোমরা একে অপরের দোষ অনুসন্ধান কর না। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ কর না এবং পরস্পর দুশমনি কর না, বরং  তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও হে আল্লাহর বান্দারা।

( বুখারী )

v  গোপন দোষ অন্বেষণকারীদের শাস্তি

. কানে গরম সিসা ঢেলে দেয়া হবে।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ تَسْمَعَ حَدِيثَ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

ইবনু আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের গোপন কথা শ্রবণ করে, অথচ তারা তা অপসন্দ করে। কিয়ামতের দিন তার কানে গরম সিসা ঢেলে দেয়া হবে।

( বুখারী, বুলুগুল মারাম )

অত্র হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, গোপন কথা শ্রবণকারী কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

. আল্লাহর কঠোরতা পতিত হবে।

عَنْ أَبِي صَرْمَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ضَارَّ  مُسْلِمًا صَارَهُ اللَّهُ وَمَنْ شَاقَ مُسْلِمًا شَاقَ اللَّهُ عَلَيْهِ.

আবূ সারমাহ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ক্ষতি করে আল্লাহ তার ক্ষতি করেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের উপর কঠোরতা করে আল্লাহ্ তার উপর কঠোরতা করেন।

( আবূদাউদ, তিরমিযী, বুলূগুল মারাম )

 অত্র হাদিস প্রমাণ করে যে, মুসলিম ব্যক্তির হেফাযতকারী স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং ক্ষতি করার চেষ্টা নয় বরং কোন মুমিন ব্যক্তির দোষ চোখে পড়লে একাকী তাকে সতর্ক করতে হবে।

. আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।

( জামে তিরমিজি )

তবে যদি ক্ষতির আশংকা থাকে কিংবা নিজের অথবা অন্য মুসলমানের হেফাযতের উদ্দেশ্য থাকে তবে ক্ষতিকারীর গোপন ষড়যন্ত্র দুরভিসন্ধি অনুন্ধান করে তা প্রকাশ করা জায়েয।

তিনগীবত করা

গীবত শব্দটি গাইব থেকে এসেছে। গীবত অর্থ সমালোচনা করা, পরনিন্দা করা, অনুপস্থিত ব্যক্তির দোষ বলা। গীবত হলো শতভাগ সত্য কথা। কোন ব্যক্তি সম্পর্কে শতভাগ সত্য দোষক্রটির কথা তার অনুউস্থিতিতে উল্লেখ করার নাম গীবত। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি সম্পর্কে তার এমন দোষের কথা বলা যা সে অপছন্দ করে।

গীবত বা পরনিন্দা যেমন কথা দ্বারা হয়, তেমনি কর্ম ইশারা দ্বারাও হয়।

   যেমন- খোঁড়া ব্যক্তিকে হেয় করার জন্য তার মত হেঁটে দেখানো ইত্যাদি।

জীবিত মানুষের পরনিন্দা যেমন পাপ, মৃত মানুষের পর নিন্দাও তেমন পাপ।

গীবতের পরিচয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ ؟ قَالوا : اَللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ قَالَ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيلَ : أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ ؟ قَالَ إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُوْلُ فَقَدْ بَهَتَّهُ

رواه مسلم

আবূ হুরাইরা রা. কর্তৃক বর্ণিত, একদা আল্লাহর সূলুল্লাহ সা. বললেন, তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? লোকেরা বলল, আল্লাহ তাঁর রসূল অধিক জানেন। তিনি সা. বললেন, তোমার ভাই যা অপছন্দ করে, তাই তার পশ্চাতে আলোচনা করা। বলা হল, ’আমি যা বলি, তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার রায় কী? (সেটাও কি গীবত হবে?)’ তিনি বললেন, ’’তুমি যা (সমালোচনা করলে) বললে, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তার গীবত করলে। আর তুমি যা (সমালোচনা করলে) বললে, তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তাকে অপবাদ দিলে।

( মুসলিম )

সুতরাং কোন কথা গীবত হওয়ার জন্য তিনটা শর্ত থাকতে হবে ।

এক- সত্য কথা হওয়া,

দুই- তার অনুউস্থিতিতে হওয়া,

তিন- এমন কথা যা শুনলে সে কষ্ট পায়।

সমাজের অধিকাংশ ধার্মিক মুসলিম এই কঠিন বিধ্বংসী পাপে লিপ্ত। জনসাধারণ থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত। সাধারণত আমরা নিজেদের সহকর্মী, সঙ্গী অথবা অন্য কোনো দলের বা মতের কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির গীবত করে মজা পাই। গীবত যেনো ইমানদারদের প্রিয় গোনাহ তে পরিণত হয়েছে ( নাউযুবিল্লাহ )। গল্পের আসরে, চায়ের দোকানে এমনকি মসজিদে এসেও আমরা অন্যের সমালোচনায় লিপ্ত হয়ে পড়ছি। অনেকে তো এভাবে শুরু করে যে, এটা বললে তো গীবত হয়ে যায়! বলা ঠিক না তবুও বলছি অমুক এটা করে, সেটা করে ইত্যাদি।

v  গীবতের ভয়াবহতা:

 এবিষয়ে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হলো-

. রাসূলুল্লাহ সা.- এর নিকটে আয়েশা রা. ছাফিইয়া রা.-এর সমালোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল সা.! আপনার জন্য ছাফিইয়ার এরকম এরকম হওয়াই যথেষ্ট। এর দ্বারা তিনি ছাফিইয়ার বেঁটে সাইজ বুঝাতে চেয়েছিলেন।  এতদশ্রবণে নাবী কারীম সা. বললেন,হে আয়েশা! তুমি এমন কথা বললে, যদি তা সাগরের পানির সঙ্গে মিশানো যেত তবে তার রং তা বদলে দিত।

( আবূ দাউদ, তিরমিযী, মিশকাত )

. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। একবার দুজন ব্যক্তি যোহর অথবা আসরের নামাজ আদায় করলো। তারা উভয়ই ছিলো রোজাদার। রাসূল সা. নামাজ সমাপ্ত করে উক্ত দুজন ব্যক্তিকে সম্বোধন করে বললেন, তোমরা উভয়ই পুনরায় ওজু করো এবং নামাজ আদায় করো। (আজকের ) রোজা পূর্ণ করে অন্য কোনো দিন এর কাযা করো। তারা জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ সা. কেন? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তোমরা অমুক ব্যক্তির গীবত করেছো।

 ( শুয়াবুল ঈমান )

. আব্দুল্লাহ্‌ ইবন মাসউদ রা. বলেন, (একদা) আমরা নাবী কারীম সা.-এর নিকটে ছিলাম। এমতাবস্থায় একজন ব্যক্তি উঠে চলে গেল। তার প্রস্থানের পর একজন তার সমালোচনা করল। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সা. তাকে বললেন: তোমার দাঁত খিলাল কর। লোকটি বলল: কি কারণে দাঁত খিলাল করব? আমি তো কোন গোশত ভক্ষণ করিনি। তখন তিনি বললেন: নিশ্চয়ই তুমি তোমার ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করেছ অর্থাৎগীবত করেছ।

( ত্বাবারানী, ইবন আবী শায়বা, হাদিস সহীহ্‌ দ্রষ্টব্য গায়াতুল মারাম )

v  গীবতকারীর শাস্তি:

. গীবত জাহান্নামে শাস্তি ভোগের কারণ হবে।

রাসূলুল্লাহ্‌ সা. বলেন: মিরাজ কালে আমি এমন কিছু লোকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখগুলি পিতলের তৈরি, তারা তা দিয়ে তাদের মুখমণ্ডল বক্ষগুলিকে ছিঁড়ছিল। আমি জিজ্ঞাস করলাম, এরা কারা হে জিবরীল? তিনি বললেন: এরা তারাই যারা মানুষের গোশত খেত এবং তাদের ইজ্জত-আবরু বিনষ্ট করত।

( আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমাদ )

. গীবত মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার শামিল 

আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে, তোমাদের কেউ কি চায় যে, সে তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করবে? তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই করে থাকো।

( সূরা হুজুরাত, আয়াত-১২ )

. গীবতকারী কবরে শাস্তিভোগ করবে।

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. বলেন, আমরা রাসূল সা. এর সাথে এমন দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, যে দুটি কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। রাসূল সা. বললেন, এদেরকে বড় কোনো গুনাহের কারণে আযাব দেয়া হচ্ছে না। তাদেরকে আযাব দেয়া হচ্ছে, তাদের একজন মানুষ গীবত করতো এবং অপরজন পেশাব থেকে পরহেজ করতো না। ( অন্য হাদিসে গীবত এর পরিবর্তে নামীমাহ এর কথা বলা আছে।)

 ( আদাবুল মুফরাদ )

সুতরাং আজকের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, যেপাপ গুলো আামাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনে অশান্তির কারণ এবং আমাদের ইমান আমল ধ্বংসের কারণ তন্মধ্যে অন্যতম হলো – কুধারণা পোষণ করা, কারো গোপন দোষ অনুসন্ধানে তার পিছে লেগে থাকা ও কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ বর্ণনা করা। এসব পাপের পরিণাম খুবই ভয়াবহ ও জাহান্নামে যাওয়ার কারন হবে। আমাদের উচিত এগুলো থেকে পরহেয থেকে ইমান আমল হিফাযত করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার অন্যায় থেকে বেচে থাকার তাওফীক দান করুন।

আমিন।

 


No comments

Powered by Blogger.