যে সকল মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না। ”প্রথম পাঠ”
যে সকল
মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না।
”প্রথম
পাঠ”
১। রসূলুল্লাহ-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ الله أَنَّ رَسُولَ الله ﷺ قَالَ: كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ
الجَنَّةَ إِلا مَنْ أبَى قِيلَ: وَمَنْ يَأْبَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟
قَالَ مَنْ
أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى.
. হযরত আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ বলেন, আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে যাবে; কিন্তু সে নয় যে অস্বীকার করবে। জিজ্ঞাসা করা হল, 'হে আল্লাহর রসূল (জান্নাতে যেতে আবার) কে অস্বীকার করবে?' তিনি বললেন, যে আমার অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে এবং যে আমার নাফরমানী করবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে।
(বুখারী ৭২৮০)
২। আল্লাহর রহমত ব্যতীত কেউ জান্নাতে যেতে পারবে নাঃ
عَنْ
أَسَدِ بْنِ كُرْزِ الله قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ ﷺ: «لَا يَدْخُلُ
الْجَنَّةَ أَحَدٌ بِعَمَلِهِ، وَلَكِنْ بِرَحْمَةِ اللَّهِ
. হযরত আসাদ ইবনু কুরজ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ আমাকে বলেছেন: কোন ব্যক্তিই তার 'আমল দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। বরং আল্লাহর রহমতই হবে জান্নাতে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন।
(মুসনাদুশ শামিয়ীন লিত তাবরানী ৬৯৮)
৩। সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَابِ الله قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ يَقُولُونَ: فُلانٌ شَهِيدٌ، وَفُلان شَهِيدٌ، حَتَّى مَرُّوا بِرَجُلٍ فَقَالُوا : فُلانٌ شَهِيدٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ : كَلَّا إِنِّي رَأَيْتُهُ يُجَرُ إِلَى النَّارِ فِي عَبَاءَةِ، غَلَّهَا، اخْرُجْ يَا عُمَرُ فَنَادِ فِي النَّاسِ: إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا الْمُؤْمِنُونَ فَخَرَجْتُ فَنَادَيْتُ: إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا الْمُؤْمِنُونَ
হযরত 'উমার ইবনুল খাত্তাব বলেন, খাইবারের যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ-এর কয়েকজন সাহাবী এসে বললেন, অমুক শহীদ, অমুক শহীদ। অন্য এক ব্যক্তির (লাশের) কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় বললো: অমুক শহীদ। তৎক্ষণাত রসূলুল্লাহ বললেন, কখনো নয়। আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি। একটি আবা (ঢিলা জামা) চুরি করার দায়ে সে জাহান্নামে গেছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ বললেন: হে 'উমার, যাও, জনগণকে জানিয়ে দাও যে, মু'মিনরা ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। 'উমার বলেন, আমি বেরিয়ে গেলাম এবং ঘোষণা করলাম যে, মু'মিনরা ছাড়া কেউ জান্নাতে যাবে না। [অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎকারী প্রকৃত মু'মিন নয় এবং জান্নাতে যাবে না।]
(মুসলিম, ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ ৩২৮)
عَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ اللهِ قَالَ : أَهْدَى رَجُلٌ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ غُلَامًا يُقَالُ لَهُ: مِدْعَمُ فَبَيْنَمَا مِدْعَمُ يَحْطُ رَحْلًا لِرَسُولِ اللَّهِ إِذْ أَصَابَهُ سهم عائر فَقَتَلَهُ فَقَالَ النَّاسُ : هَنِيئًا لَهُ الْجَنَّةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: كَلَّا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِن الشملة الَّتِي أَخَذَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ مِنَ الْمَغَائِمِ لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِك النَّاسِ جَاءَ رجل بشرك
أَوْ
شِرَاكَيْنِ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ: شِرَاكَ مِنْ نَارٍ أَوْ شِرَاكَانِ من
نارٍ.
হযরত আবূ হুরায়রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক
ব্যক্তি (বানী দুবার গোত্রীয়)
মিদ্'আম
নামক একটি গোলাম রসূলুল্লাহ-কে হাদিয়া স্বরূপ দেন। এক যুদ্ধে সে সওয়ারীর উপর হতে রসূলুল্লাহ-এর হাওদা বা গদি নামাচ্ছিল। অকস্মাৎ কোথা থেকে একটি অজ্ঞাত তীর এসে তার গায়ে বিধল এবং এটাই তাকে হত্যা করে ফেলল; তখন
লোকেরা বলে উঠল, তার
জন্য জান্নাত মুবারক হোক। তখন রসূলুল্লাহ বললেন, কখনো না। সেই মহান সত্তার কসম, যার
হাতে আমার প্রাণ! খায়বার যুদ্ধে গনীমাতের মাল হতে বণ্টন ব্যতিরেকে যে চাদরটি সে আত্মসাৎ করেছে, তা তার উপর অগ্নিরূপে দগ্ধ করবে। এ কথা শুনে এক ব্যক্তির জুতার একটি কিংবা দু'টি
ফিতা যা অন্যের অগোচরে লুকিয়ে রেখেছিল, তা নবী করীম -এর নিকট এনে পেশ করল। তখন তিনি বললেন, এই
একটি ফিতা বা দু'টি
ফিতার কারণেও জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত আগুন হবে।
(বুখারী ৬৭০৭, মুসলিম
১১৫, আবু দাউদ ২৭১১, নাসায়ী
৩৮২৭)
৪। আল্লাহর অবাধ্য, পাপী ব্যক্তি জান্নাতে যাবে নাঃ
قَالَ رَسُولُ
اللهِ : لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاصِ.
রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন:
আল্লাহর) অবাধ্য, পাপী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(মুছান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৯২৯৪, আল-মারাসীল লিআবী দাউদ ৩২৭)
৫। হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ جَابِرٍ
له قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ : لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمُ نَبَتَ منَ
السُّحْتِ وكل لحم نبت من السُّحْتِ كَانَتِ
النَّارُ
أَوْلَى بِهِ».
হযরত জাবির হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
বলেছেন: যে দেহের গোশত হারাম উপার্জনে গঠিত, তা
জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী।
(আহমাদ ১৪৪১, শু'আবুল ঈমান ৮৯৭২, দারিমী
২৭৭৯)
عَنْ أَبِي
بَكْرِ الصِّدِّيقِ الله أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
جَسَدُ غُذِّيَ بِحَرَامٍ
. হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী
করীম বলেছেন: হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(মুসনাদে আবু ইয়া'লা
৮৩)
৬। অবৈধ খাজনা বা চাঁদা আদায়কারী জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ
عَامِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ: لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ صَاحِبُ مَكْسٍ.
. হযরত 'উকবাহ ইবনু 'আমির হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমি রসূলুল্লাহ-কে বলতে
শুনেছি: অবৈধ খাজনা বা চাঁদা আদায়কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(আবু দাউদ ২৯৩৭,
ইবনু মাজাহ ৩৭১৮,
আহমাদ ১৭২৯৪, দারিমী ১৭০৮,
আল-জামিউস সাগীর ৬৩৪১,
মিশকাত ৩৭০৩)
৭। মুহরিমের সাথে ব্যভিচারী জান্নাতে যাবে নাঃ
عن مُجاهِدٍ
الله قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ : لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ زَنَى بِذَاتِ
مَحْرَم
হযরত মুজাহিদ এ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নবী করীম বলেছেন: যে ব্যক্তি তার মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) ব্যক্তির সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(মুছান্নাফু আব্দুর রাজ্জাক ১২৭৭১,
মু'জামুল কাবীর লিততাবরানী ১১০৩১)
৮। প্রতারক-ধোঁকাবাজ, বিশ্বাসঘাতক, কৃপণ জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ أَبِي
بَكْرِ الصَّدِّيقِ الله قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُولُ: «لَا يَدْخُلُ
الْجَنَّةَ خِبُّ وَلَا خَائِنٌ
. হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী
করীম -কে বলতে শুনেছি: প্রতারক-ধোঁকাবাজ, বিশ্বাসঘাতক জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(আবু দাউদ তায়ালিসী হা/৮, হিলয়াতুল
আওলিয়া ৪/১৬৩)
عَنْ أَبِي
بَكْرِ الصِّدِّيقِ الله قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ : لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
بَخِيلٌ وَلا خَبُّ وَلَا خَائِنٌ وَلَا سَيِّئُ الْمَلَكَةِ وَأَوَّلُ مَنْ
يَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ الْمَمْلُوكُونَ؛ إِذَا أَحْسَنُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ
وَبَيْنَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَفِيمَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَوَالِيهِمْ.
. হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: কোন কৃপণ, ছদ্মবেশধারী ধোঁকাবাজ, খিয়ানতকারী ও অধীনস্থ দাস-দাসীদের সাথে অসদাচরণকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সর্বপ্রথম যারা জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে তারা হবে দাসদাসী যদি তারা আল্লাহর সাথে ও তাদের মনিবের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করে।
(তিরমিযী-১৯৪৬, মুসনাদে
আহমাদ)
عَنْ أَبِي
بَكْرِ الصِّدِّيقِ الله عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: "لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
خِبُّ وَلَا مَنَّانُ وَلَا بَخِيلُ
হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক হতে বর্ণিত। নবী করীম বলেছেন: প্রতারক-ধোঁকাবাজ, উপকার করে তার খোঁটাদানকারী ও কৃপণ জান্নাতে যেতে পারবে না।
(সূনান আত তিরমিজী ১৯৬৩)
৯। সুদখোর, ঘুষখোর, ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ الله قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: أَرْبَعَةً حَقٌّ عَلَى اللهِ أَنْ
لَا يُدْخِلَهُمُ الْجَنَّةَ وَلَا يُذِيقَهُمْ نَعِيْمَهَا مُدْمِنُ الْخَمْرِ،
وَآكِلُ الرَّبَا، وَآكِلُ مَالِ الْيَتِيمِ بِغَيْرِ حَقٌّ، وَالْعَاقُ لِوَالِدَيْهِ.
হযরত আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: "আল্লাহ তা'য়ালা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ যে, ৪ ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না, উহার নিয়ামতসমূহের স্বাদ গ্রহণ করাবেন না; ১. মাদকাসক্ত, ২. সুদখোর, ৩. অন্যায়ভাবে ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণকারী এবং পিতা-মাতার প্রতি দুর্ব্যবহারকারী।
(হাকিম ফিল মুস্তাদরাক)
عَنْ عَبْدِ
اللهِ بْنِ عَمْرِوا الله قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي فِي
النَّارِ. .
হযরত 'আব্দুল্লাহ্ ইবনু 'আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী
করীম দাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়েই জাহান্নামী।" (তাবরানী ফিল আওসাত্ব) বলেছেন: "ঘুষ
১০। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে নাঃ
عَنْ مُحَمَّدِ
بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَحْشِ الله قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ
حَيْثُ يُوضَعُ الْجِنَائِزِ وَرَسُولُ اللهِ ﷺ جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَيْنَا فَرَفَعَ
رَسُولُ اللهِ ﷺ بَصَره قبل السَّمَاء فَنظر ثُمَّ طَأْطَأَ بَصَرَهُ وَوَضَعَ
يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ: سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ اللهُ مَا نَزَلَ مِنَ
التَّشْدِيدِ؟» قَالَ: فَسَكَتَنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا فَلَمْ نَرَ إِلَّا
خَيْرًا حَتَّى أَصْبَحْنَا قَالَ مُحَمَّدٌ: فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللهِ ﷺ: مَا
التَّشْدِيدُ الَّذِي نَزَلَ؟ قَالَ: «فِي الدَّيْنِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ
بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ عَاشَ، ثُمَّ
قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ عَاشَ
وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ.
মুহাম্মাদ ইবনু 'আব্দুল্লাহ ইবনু জাহশ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন
আমরা মাসজিদের সামনে খোলা জায়গায় বসাছিলাম, যেখানে জানাযা রাখা হতো। রসূলুল্লাহ আমাদের মধ্যে বসে ছিলেন। তখন তিনি আকাশের দিকে চোখ উঠিয়ে তাকালেন, অতঃপর
দৃষ্টিকে অবনত করে কপালের উপর হাত রেখে বললেন, সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! কী কঠোরতম (আয়াত) অবতীর্ণ হলো! বর্ণনাকারী বলেন, আমরা
একদিন একরাত নিশ্চুপই রইলাম; এ সময়ের মধ্যে সব ভালোই দেখলাম। মুহাম্মাদ ইবনু 'আব্দুল্লাহ ইবনু জাহশ বলেন, পরবর্তী
দিন ভোর হলে আমি রসূলুল্লাহ -এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি
বললেন, ঋণের বিষয়ে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে। ঐ আল্লাহর কসম, যাঁর
হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোনো লোক আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার
শহীদ হয়ে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং তার ওপর ঋণ থাকায় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়।
(নাসায়ী ৪৬৮৪, আহমাদ
২২৪৯৩, আত তারগীব ১৮০৪)
সংকলনে,
এইচ,এম,হুজ্জাতুল্লাহ
No comments
Post a Comment