আক্বীদাহ এর পরিচয়
আক্বীদাহ এর পরিচয়
মানুষ যা সত্য বলে বিশ্বাস
করে এবং যাকে সে দীন হিসাবে গ্রহণ করে তাই তার আকীদা। এ আকীদাটি যদি আল্লাহ
তা‘আলার প্রেরিত রসূলগণের দীন এবং তার নাযিলকৃত কিতাবসমূহ অনুযায়ী হয়, তাহলে
তা সহীহ আকীদা হিসাবে গণ্য হয়। তার মাধ্যমে আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে
এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সৌভাগ্য লাভ করা যাবে।
আর এ আকীদা যদি আল্লাহ
তা‘আলার প্রেরিত রসূলগণের আনীত আকীদার বিরোধী হয় এবং তার নাযিলকৃত আসমানী
কিতাবসমূহের পরিপন্থী হয়, তাহলে তার অনুসারীরা
আযাবের সম্মুখীন হবে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে হতভাগ্য হবে।
কেউ পরিশুদ্ধ আকীদা গ্রহণ
করলে দুনিয়াতে তার জান-মাল নিরাপদ থাকবে এবং অন্যায়ভাবে তার উপর আক্রমণ করা
নিষিদ্ধ হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,
أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا
إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ
وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ
وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّ الْإِسْلَامِ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ
‘‘আমাকে
মানুষের সাথে জিহাদ করার আদেশ দেয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা এ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ
ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর
রসূল এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত দিবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে তখন
তারা আমার হাত থেকে নিজেদের জান ও মাল নিরাপদ করে নিবে’’।[1]
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ
مِنْ دُونِ اللَّهِ حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ
‘‘যে
ব্যক্তি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য বাতিল মাবুদের
ইবাদতকে অস্বীকার করবে, তার জান-মাল মুসলিমদের
নিকট সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে এবং তার অন্তরে লুকায়িত বিষয়ের হিসাব আল্লাহর উপরই
ন্যস্ত হবে’’।[2]
এ পরিশুদ্ধ আকীদাই
কিয়ামতের দিন বান্দাকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাবে। মুসলিম
শরীফে জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ لَقِىَ اللَّهَ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ
وَمَنْ لَقِيَهُ يُشْرِكُ بِهِ شيئا دَخَلَ النَّارِ
‘‘যে
ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে মৃত্যু বরণ করবে, সে
জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তার সাথে কাউকে শরীক করে মৃত্যু বরণ করবে সে
জাহান্নামে প্রবেশ করবে’’।[3]
ইমাম বুখারী ও মুসলিম
সাহাবী ইতবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
فَإِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللَّهُ يَبْتَغِى بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ
‘‘আল্লাহ তা‘আলা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে’’।[4]
পরিশুদ্ধ আকীদার মাধ্যমে
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সমস্ত গুনাহ মোচন করে দেন। ইমাম তিরমিযী আনাস
রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে,
আমি রসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,
তিনি বলেন, আল্লাহ
তা‘আলা হাদীছে কুদছীতে বলেছেন,
يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِى بِقُرَابِ الأَرْضِ
خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِى لاَ تُشْرِكُ بِى شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا
مَغْفِرَةً
‘‘হে
বনী আদম! তুমি যদি যমীন পরিপূর্ণ গুনাহ্ নিয়ে আমার কাছে আগমন করো এবং আমার সাথে
অন্য কিছুকে শরীক না করে মিলিত হও,
তাহলে যমীন পরিপূর্ণ
ক্ষমাসহ আমি তোমার সাথে সাক্ষাৎ করবো।[5]
হাদীছের শব্দ قرابها অর্থ হলো ملؤها অর্থাৎ যমীন ভর্তি বা তার কাছাকাছি। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা
পাওয়ার শর্ত হলো শিরকমুক্ত পরিশুদ্ধ আকীদা থাকা চাই। চাই শিরকের পরিমাণ বেশী হোক
বা কম হোক, ছোট শিরক হোক বা বড় শিরক হোক। যার আকীদা শিরকমুক্ত হবে সেই
মুক্ত ও পরিশুদ্ধ অন্তরের মালিক বলে গণ্য হবে। এ শ্রেণীর লোকের ব্যাপারে আল্লাহ
তা‘আলা বলেন,
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
‘‘সেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো উপকারে আসবে না; কিন্তু যে পরিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে’’।
( সূরা শুআরা: ৮৮-৮৯ )
আল্লামা ইমাম ইবনুল
কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ ইতবান ইবনে মালেকের হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, সেসব
পরিশুদ্ধ তাওহীদের অধিকারীগণ ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে,
যারা তাদের তাওহীদের সাথে
শিরক মিশ্রিত করেনি। আর যাদের অবস্থা শিরকমুক্ত হবে না, তারা
ক্ষমাপ্রাপ্তও হবে না।
সুতরাং তাওহীদপন্থী যে লোক
আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করা অবস্থায় যমীন ভর্তি গুনাহ নিয়ে সাক্ষাৎ করবে, আল্লাহ
তা‘আলা তার সাথে যমীন ভর্তি ক্ষমা নিয়ে সাক্ষাৎ করবেন। যার তাওহীদ ত্রুটিযুক্ত হবে, সে
এ ফযীলত অর্জন করতে পারবে না। সুতরাং যে খাঁটি তাওহীদের সাথে শিরক মিশ্রিত হয় না, তার
সাথে কোনো গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না। কেননা পরিশুদ্ধ আকীদা আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসা, তার
প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, তার ভয়, একমাত্র
তার নিকট আশা-ভরসা ইত্যাদিকে আবশ্যক করে। আর এটি নিঃসন্দেহে গুনাহ মোচন হওয়ার
কারণ। যদিও এটা যমীন ভর্তি হোক না কেন। সুতরাং শিরকের নাপাকী আসতেই পারে। কিন্তু
তাকে দূর করার খুব শক্তিশালী মাধ্যম ও উপায় রয়েছে। ইমাম ইবনুল কাইয়্যিমের কথা
এখানেই শেষ।
আকীদা বিশুদ্ধ থাকলে আমল
কবুল হয় এবং আমল দ্বারা বান্দা উপকৃত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
‘‘যে পুরুষ বা নারীই সৎকাজ করবে, সে যদি মুমিন হয়, তাহলে তাকে আমি দুনিয়ায় পবিত্র-পরিচ্ছন্ন জীবন দান করবো এবং আখিরাতে তাদের প্রতিদান দেবো তাদের সর্বোত্তম কাজ অনুসারে।
( সূরা আন নাহাল: ৯৭ )
আর যদি আকীদা পরিশুদ্ধ না হয়, তাহলে বিপরীত হবে। কেননা বাতিল আকীদা সমস্ত আমল বরবাদ করে দেয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
‘‘তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়েছে, যদি আল্লাহর সাথে শরীক করো, তবে তোমার কর্ম নিস্ফল হবে এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
( সূরা আয যুমার: ৬৫ )
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَلَوْ أَشْرَكُوا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তারা যদি শিরক করতো, তাহলে তাদের আমলসমূহ বরবাদ হয়ে যেতো।
( সূরা আনআম: ৮৮ )
শিরকপূর্ণ বাতিল আকীদার
কারণে বানদার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায় ও সে আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা হতে বঞ্চিত
হয়। এর কারণে মানুষ আল্লাহর আযাবের সম্মুখীন হবে এবং চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শিরক করার গুনাহ মাফ করবেন না। শিরক ছাড়া অন্যান্য যেসব গুনাহ রয়েছে সেগুলো যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করে দিবেন।
( সূরা আন নিসা: ৪৮ )
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। বস্ত্তত যালেমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
( সূরা আল মায়েদা: ৭২ )
বাতিল আকীদা পোষণকারীর জান
ও মালের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلَّهِ
‘‘তোমরা
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর ফিতনা (শিরক) অবসান না হওয়া পর্যন্ত এবং দীন পরিপূর্ণরূপে
আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত। (সুরা আল আনফাল: ৩৯)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوْا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
‘‘অতঃপর মুশরিকদের হত্যা করো। যেখানেই তাদেরকে পাও, তাদেরকে বন্দী এবং অবরোধ করো। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাকো। কিন্তু যদি তারা তাওবা করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে তাহলে তাদের রাস্তা ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
( সূরা আত
তাওবা: ৫ )
অপরপক্ষে মানুষের অন্তর, সামাজিক
আচার-আচরণ ও জীবন-যাপনে পরিশুদ্ধ আকীদার বিরাট প্রভাব রয়েছে। রসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় দু’দল লোক মসজিদ নির্মাণ করেছিল। একদল লোক সৎ নিয়ত ও
আল্লাহ তা‘আলার প্রতি সহীহ আকীদা পোষণ করে মসজিদ নির্মাণ করেছিল। অন্য একটি দল অসৎ
উদ্দেশ্যে এবং বাতিল আকীদার উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিল। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা
তার নবীকে ঐ মসজিদে সালাত আদায় করার আদেশ করলেন, যা
তাকওয়া এবং পরিশুদ্ধ ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর যে মসজিদ কুফুরী করার জন্য
এবং অসৎ উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে, তাতে তিনি তার নবীকে
সালাতের জন্য দাঁড়াতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَى وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ لَا تَقُمْ فِيهِ أَبَدًا لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ فَمَنْ أَسَّسَ بُنْيَانَهُ عَلَى تَقْوَى مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانٍ خَيْرٌ أَمْ مَنْ أَسَّسَ بُنْيَانَهُ عَلَى شَفَا جُرُفٍ هَارٍ فَانْهَارَ بِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
‘‘যারা সত্যের দাওয়াতকে ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে, কুফুরী করার জন্য, মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এবং ঐ ব্যক্তির জন্য গোপন ঘাটি বানাবার উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছে যে ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তারা অবশ্যই কসম খেয়ে বলবে, ভালো ছাড়া আর কোনো ইচ্ছাই আমাদের ছিল না। কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা একেবারেই মিথ্যাবাদী। তুমি কখনো সেখানে দাঁড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকেই, সেটিই তোমার দাঁড়াবার যোগ্য স্থান। সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতা অর্জন করাকে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। তুমি কি মনে করো, যে ব্যক্তি আল্লাহ ভীতি ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের উপর নিজের ইমারতের ভীত্তি স্থাপন করলো সে ভাল, না যে ব্যক্তি তার ইমারতের ভিত উঠালো পতনমুখী একটি গর্তের কিনারায়, অতঃপর তা তাকে নিয়ে সোজা জাহান্নামের আগুনে গিয়ে পড়লো? এ ধরণের যালেমদেরকে আল্লাহ কখনো সোজা পথ দেখান না।
( সূরা আত তাওবা: ১০৭-১০৯ )
[1] . বুখারী, অধ্যায়: কিতাবুল ঈমান।
[2] . মুসলিম, অধ্যায়: লা-ইলাহা পাঠ না
করা পর্যন্ত লোকদের সাথে জিহাদ করার আদেশ।
[3]. সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: যে ব্যক্তি শিরক
করে মৃত্যু বরণ করল, সে জাহান্নামে প্রবেশ
করবে।
[4] . বুখারী, অধ্যায়: বাড়িঘরে সালাতের
স্থান নির্ধারণ করা, মুসলিম, অধ্যায়:
জামা‘আতের সাথে সালাত পড়া হতে বিরত থাকার অনুমতি।
[5] . তিরমিযী, অধ্যায়: গুনাহ্ করার পর
বান্দার জন্য আল্লাহর ক্ষমা। ইমাম আলবানী (রহি.) হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুন:
সিলসিলায়ে সহীহা, হা/১২৭।
কপি
No comments
Post a Comment