আদর্শ সন্তান প্রতিপালনে মাতা-পিতার করণীয়
আদর্শ সন্তান প্রতিপালনে মাতা-পিতার করণীয় =
সন্তানাদি আল্লাহর পক্ষ থেকে পিতামাতার জন্য এক বড় নিয়ামত ৷ সাংসারিক জীবনে সুখের কারণও বটে ৷ এটা আবার পিতামাতার জন্য পরিক্ষা স্বরুপ ৷
আল্লাহ তায়ালা বলেন –
وَاعْلَمُوا أَنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ
فِتْنَةٌ وَأَنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব।
(সূরাঃ আল-আনফাল, আয়াতঃ ২৮)
একটি সুসন্তান পৃথিবীতে পিতামতার জন্য সম্মান ও পরকালে নাজাতের মাধ্যম হয় ৷ পক্ষান্তরে, একটি কু-সন্তান পৃথিবীতে পিতামাতার জন্য অসম্মান ও পরকালে জাহান্নামের কারণ হতে পারে ৷
তাই তো আল্লাহ বলেন –
يا ا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ
أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ
فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
(সূরাঃ মুনাফিকুন, আয়াতঃ ৯)
তাই সৎ সন্তানের জন্য পিতামাতাকে ইসলামী বিধান অনুযায়ী কতিপয় দায়িক্ত ও কর্তব্য পালন করতে হবে ৷
নিম্নে আদর্শ সন্তান গঠনে পিতামাতার করণীয় সম্পর্কে আলোক পাত করা হলো ঃ-
★একঃ-
আদর্শ মায়ের ব্যবস্থা করা
সন্তানের জন্য একজন নেককার মায়ের ব্যবস্থা পিতাকেই করতে হবে ৷ বিবাহের পূর্বে একজন পুরুষকে স্ত্রী বাচাই করার সময় একথা মনে রাখতে হবে যে, আমি শুধু স্ত্রী নয় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মা বাচাই করছি ৷ তাই স্ত্রী যেনো সৎ ও নেককার হয় ৷ একজন ভালো স্ত্রীর থেকে ভালো সন্তান আশা করা যায় ৷
এজন্য ইসলাম বিবাহের সময় কোনো মেয়ের দ্বীনদারীতাকেই প্রাধান্য দিতে বলেছে ৷ আর প্রার্থনা করতে হবে এভাবে –
َ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ
أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।
(সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪ )
★দুইঃ-
সু সন্তানের জন্য দোয়া করা
সু সন্তান পিতামাতার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত ৷ অপর দিকে কু সন্তান পিতামাতার জন্য ক্ষতির কারণ ৷ এজন্য নবী-রাসূলগণও সু সন্তানের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছেন ৷
নাবী-রাসুলগণের প্রারথনা ঃ
যেমন কুরআনে এসেছে -
যাকারীয়া আঃ এর প্রার্থনা
هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ ۖ قَالَ رَبِّ
هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
সেখানেই যাকারিয়া তাঁর পালনকর্তার নিকট প্রার্থনা করলেন। বললেন, হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।
(সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৩৮)
وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي
فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করেছিল; হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।
(সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ 89)
فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَىٰ وَأَصْلَحْنَا
لَهُ زَوْجَهُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا
وَرَهَبًا ۖ وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।
(সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ 90 )
ইবরাহীম আঃ এর প্রার্থনা –
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
(সূরাঃ আস-সাফফাত, আয়াতঃ ১০০)
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
(সূরাঃ আস-সাফফাত, আয়াতঃ ১০১)
★তিনঃ-
গর্ভকালীন করণীয়
বাচ্চা গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শারীরিক পরিচর্যাসহ যাবতীয় খরচ বাবাকে বহন করতে হবে ৷
এসময় মা
1- আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দোয়া করবে
2- কুরআন তেলায়াতের মাধ্যমে সময় অতিবাহেত করবে
3- চলাফেলা সাবধানতার সাথে করবে, যাতে কোন অনাকাংখিত সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়
4- মা নিজের স্বাস্থের দিকে এবং বাচ্চার সুস্থতার ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন থাকবেন ৷
5- প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিবে।
★চারঃ-
শুকরীয়া আদায় করা
সন্তান দেয়া বা না দেয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালা ৷ এখানে কারো কোন প্রকার ক্ষমতা নাই ৷ তাই সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সর্বাস্থায় আল্লাহর শুকরীয়া আদায় করতে হবে ৷ সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা পুত্র হলে খুব খুশি হোন এবং কন্যা সন্তান হলে অখুশি হোন ৷ যেমন টা জাহেলী যুগের অবস্থা ছিল ৷ কন্যা সন্তানকে তারা কোনভাবেই সহ্য করতে পারতো না ৷
যেমন কুরআন তাদের চরিত্র বর্ণনা করে বলেন
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالْأُنْثَىٰ ظَلَّ
وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে।
(সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ৫৮)
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَٰنِ
مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।
(সূরাঃ যুখরুফ, আয়াতঃ ১৭)
তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা দেন আবার যাকে ইচ্ছা পুত্র দেন ৷ আবার যাকে ইচ্ছা উভয়টি দেন এবং কাউকে দেন না ৷
যেমন কুরআন মাজীদে এসেছে
- َ ۚ يَهَبُ
لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُور أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا
وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَنْ يَشَاءُ عَقِيمً إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِير َ
তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদের কে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধা করে দেন ৷ নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল ৷
( সুরাঃ আশ্ শুরা, আয়াত 49,50 )
★পাঁচ
আকীকাহ করা
পিতামাতাকৃর উপর অন্যতম দায়িক্ত হলো সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকীকাহ করা ৷ পুত্র সন্তান হলে দুইটা এবং কন্যা সন্তান হলে একটি ছাগল যবেহ করবে ৷ পিতামাতার পক্ষে সম্ভব না হলে দাদা অথবা নানা এ আকীকাহ করতে পারবে ৷
যেমন হাদিসে এসেছে –
عَنْ أُمِّ كُرْزٍ الْكَعْبِيَّةِ،
قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " عَنِ الْغُلاَمِ
شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ .
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ........ উন্মু কুরয্ কা‘বিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি, ছেলের জন্য দু‘টি একই ধরণের বকরী এবং মেয়ের জন্য একটি বকরী দিয়ে ‘আকীকা দেওয়া যথেষ্ট হবে।
( আবু দাউদ হাঃ 2825) আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আমি ইমাম আহমদ (রহঃ) -কে বলতে শুনেছি যে,-
‘মুকাফিইয়াতানে ’অর্থ হলোঃ দু‘টি এক ধরনের হবে অথবা সে দুটি একই বয়সের হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih )
عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى
الله عليه وسلم ـ قَالَ " كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ
عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى "
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।
( ইবনে মাজাহ হাঃ 3165 )
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدٍ الْمُزَنِيَّ
حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يُعَقُّ عَنِ الْغُلاَمِ
و لاَ يُمَسُّ رَأْسُهُ بِدَمٍ " .
ইয়াযীদ ইবনে আবদ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করতে হবে (আকীকা করতে হবে) এবং তার মাথা পশুর রক্তে রঞ্জিত করা যাবে না।
( ইবনু মাজাহ 3166 ) তাহকীক আলবানীঃসহীহ
★ছয়ঃ-
ভালো নাম রাখা
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সুন্দর নাম রাখা পিতামাতার দায়িক্ত ৷ সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখতে হবে ৷ সন্তানের জীবনে নামের প্রভাব রয়েছে, এজন্য ভালো নাম রাখতে হবে এবং খারাপ নাম পরিহার করতে হবে ৷
যেমন হাদিসে এসেছে –
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ
غَيْرَ اسْمَ عَاصِيَةَ وَقَالَ: أَنْتِ جَمِيلَةُ.
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “আসিয়া” (পপিষ্ঠা) নাম পরিবর্তন করেন এবং বলেনঃ তুমি জামীলা (সুন্দরী)।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, মুসনাদ আবু আওয়ানা, ইবনে হিব্বান) আল আদাবুল মুফরাদ হাঃ827 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়লা সন্তানকে তার বাবার নাম ধরে ডাকবেন ৷ তাই সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখার ব্যাপারে ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছে ৷
عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى
الله عليه وسلم ـ قَالَ " كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ
عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى
" সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।
( ইবনে মাজাহ হাঃ 3165 ) তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
আল্লাহর নিকট দুইটা প্রিয় নাম রয়েছে তা হলো আব্দুল্লাহ (আল্লাহর দাস), আব্দুর রহমান (রহমানের দাস) যেমন হাদিসে এসেছে
احب الاسماء الي الله تعالي عبدالله وعبد الرحمن
আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হলো - আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান ৷
এছাড়া নবীদের নামে নাম রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে ৷
যেমন হাদিসে এসেছে –
سموا باسماء الانبياء
তোমরা নবীদের নামে নাম রাখ ৷ অনেক বাবা-মা সনতানাদির ভালো অর্থবোধক নাম রাখার ক্ষেত্র উদাসীন৷
আর বর্তমামে আমরা আধুনিকতার নামে এতোটা অগ্রসর হয়েছি যে, নাম শুনলে বুঝা যায় না যে সে মুসলিম ৷
★সাতঃ-
তাহনীক করা
তাহনীক হলো সন্তান জন্মের পর কোন নেককার মানুষের দ্বারা খেজুর চিবায়ে রস মুখে দেয়া ৷ মধুও দেয়াা যেতে পারে ৷
َعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ
أَنَّهَ حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا
مُتِمٌّ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ قُبَاءً فَوَلَدْتُ بِقُبَاءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ
بِه„ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُه“ فِي حَجْرِه„ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ
فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَه“ رِيقُ
رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَنَّكَه“ بِالتَّمْرَةِ ثُمَّ دَعَا لَه“
فَبَرَّكَ عَلَيْهِ وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الإِسْلاَمِ فَفَرِحُوا بِه„
فَرَحًا شَدِيدًا لِأَنَّهُمْ قِيلَ لَهُمْ إِنَّ الْيَهُودَ قَدْ سَحَرَتْكُمْ فَلاَ
يُولَدُ لَكُمْ.
আসমা বিন্ত আবূ বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে মক্কা্য় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্থায় আমি বেরিয়ে মদিনা্য় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে তাকে তাঁর কোলে রাখলাম। তিনি একটি খেজুর আনতে বললেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই লালাই সর্বপ্রথম তার পেটে প্রবেশ করেছিল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহনীক করলেন এবং তার জন্য বরকতের দু‘আ করলেন। হিজরতের পরে) ইসলামে জন্মলাভকারী সেই ছিল প্রথম সন্তান। তাই তার জন্যে মুসলিমরা মহা আনন্দে আনন্দিত হয়েছিলেন। কারণ, তাদের বলা হত ইয়াহূদীরা তোমাদের যাদু করেছে, তাই তোমাদের সন্তান হয় না।
( বুখারী, ই ফা বা হাঃ ৪৯৬০)
ُ عَنْ أَبِي مُوسٰى
قَالَ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاه“
إِبْرَاهِيمَ فَحَنَّكَه“ بِتَمْرَةٍ وَدَعَا لَ ه“ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَه“ إِلَيَّ
وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى.
আবূ মূসা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মালে আমি তাকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারাকাতের দু‘আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার সবচেয়ে বড় ছেলে।
[৬১৯৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৮) হাদিসের মানঃ সহিহ
★আটঃ-
মাথা মুন্ডন করা
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সুন্নাহ সম্মত কাজ হলো তার মাথা মুন্ডানো এবং চুলের সমপরিমাণ রুপা বা টাকা সাদকাহ করা ৷
سَلْمَانُ بْنُ عَامِرٍ الضَّبِّيُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْه“ دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الأَذَى.
সালমান ইবনু ‘আমির হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তানের সঙ্গে ‘আক্বীক্বাহ সম্পর্কিত। সালমান ইবনু ‘আমির হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, সন্তানের সঙ্গে ‘আক্বীক্বাহ সম্পর্কিত। তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত অর্থাৎ ‘আক্বীক্বাহর জন্তু যবহ) কর এবং তার অশুচি চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।
[ বুখারী 5471 ] হাদিসের মানঃ সহিহ
عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله
عليه وسلم ـ قَالَ " كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ
يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى
" সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।
( ইবনে মাজাহ হাঃ 3165 ) তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
★নয়ঃ-
দুধ পান করানো
সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে পূর্ণ দু'বছর মায়ের বুধের দুধ পান করাতে হবে৷ এটা সন্তান অধিকার যা মা কে পালন করতে হবে ৷ আর পিতার দায়িক্ত হলো মায়ের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা ৷
আল্লাহ তায়ালা বলেন –
َوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ
أُمُّهُ وَهْنًا عَلَىٰ وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ
إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
(সূরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৪)
وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ
كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ ۚ وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ
رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ٌ
আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ,,,,,,,,,,৷
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ 233)
★দশ
শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া
শিশুরা সবচেয়ে বেশি অনুকরণ প্রিয় হয় ৷ তারা বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তা, চাল-চলন দেখে শিখে ৷মায়ের কাছে বেশি সময় থাকার কারণে মায়ের মুখের ভাষা আয়ত্ব করে ৷ এসময়ে বিশেষ মা তাকে সুন্দর করে কথা বলা শিখাবে ৷ ইসলামী আদব শিক্ষা দিবে ৷ বাব-মা ও বড়দেরকে সালাম দেয়া শিখাবে এবং তাদের সাথে ভদ্রতা শিখাবে ৷
শিশুর সামনে বর্জনীয় কাজ সমূহঃ
1- তার সাথে মিথ্যা বলবে না
2- তার সাথে মিথ্যা ছলনা করা যাবে না
3- মা - বাবা তাদের সন্তানের সামনে কাপড় পরিবর্তন করবে না
4- স্বামী-স্ত্রী শিশুর সামনে একে অপরের অন্তরঙ্গ মূহুর্ত অতিবাহিত করবেনা
5- স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ঝগড়া করবে না ৷
6- শিশুর সামনে অন্য কেও গালিগালাজ করবে না ।
করণীয়
সন্তান সাত বছর বয়সে পদার্পণ করলে তাকে নামাজের তা'লীম দিতে হবে ৷ নামাজের পদ্ধতি ও দোয়া শেখাতে হবে ৷ এভাবে দশবছর পর্যন্ত চলবে ৷ দশ বছর বয়সে তার উপর শরিয়ত কার্যকর হয় তাই এসময় নামাজ না পড়লে তাকে শাস্তি দিতে হবে ৷ আর এ সময় তাদের (ছেলে-মেয়েদের) বিছানা পৃথক করে দিতে হবে ৷
যেমন হাদিসে এসেছে-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ
أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ
عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ
" . আমর ইবনু শুআয়েব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের সন্তানরা সাত বছরে উপনীত হবে, তখন তাদেরকে নামায পড়ার নির্দেশ দেবে এবং তাদের বয়স যখন দশ বছর হবে তখন নামায না পড়লে এজন্য তাদেরকে মারপিট কর এবং তাদের (ছেলে-মেয়েদের) বিছানা পৃথক করে দিবে।
আবু দাউদ হাঃ 495 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
★এগারোঃ-
খাৎনা করানো
পুত্র সন্তানের উপযুক্ত বয়স হলে তাকে খাৎনা করাতে হবে ৷ খাৎনা করা স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী ৷ আর এটা নবী-রাসূলগণের সুন্নাতও বটে ৷ খাৎনা করাকে ফিতরাত বলা হয়েছে৷
যেমন হাদিসে এসেছে –
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْفِطْرَةُ خَمْسٌ الاِخْتِتَانُ وَالاِسْتِحْدَادُ
وَقَصُّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبْطِ
" . আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্গত। খাতনা করা, নাভির নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলা, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপরে ফেলা।
( সূনানুন নাসাঈ হা 9, সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ২৯২, )
★বারোঃ-
সুশিক্ষা শিক্ষা দেয়া
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার৷ যে শিক্ষার মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে সেটাই হলো সুশিক্ষা ৷ আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি উন্নতির চরম শিখড়ে পৌছাতে পারে না ৷ সুশিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমেই একজন মানুষ পরিবার,সমাজ এবং রাষ্টের দায়িক্ত ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারে ৷ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম আদেশ হলো "পড়" ৷
যেমন কুরআনে এসেছে- আল্লাহ বলেন,
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরাঃ আলাক, আয়াতঃ ১) অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে,শিশুক সন্তানকে সব্রপ্রথম তার স্রস্টা সম্পর্কে জানাতে হবে ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন –
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ ْ
জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
(সূরাঃ মুহাম্মদ, আয়াতঃ ১৯)
বর্তমানে আমরা আফসোসের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সমাজের অনেক বড় বড় ডিগরীধারী অনেক ব্যক্তি যারা জনগণের সেবক হিসাবে রয়েছেন তারা মদ-জোয়া,সুদ,ঘুষ,দূর্নীতি সহ সকল প্রকার সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড জড়িত হয়ে পড়ছে ৷ কারণ তাদের মধ্যে নৈতিক জ্ঞানের অভাব ৷ তাই শৈশবে তাদের ধর্মীয় জ্ঞান নিশ্চিত করতে হবে ৷ আমাদের শিক্ষার মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকার কারণে বাবা-মা কে শেষ বয়সে বিদ্ধাশ্রমে যেতে হচ্ছে৷ যে সন্তানের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ৷ নিজের জীবনের আরাম-আয়েশকে দিয়েছেন বিসর্জন ৷
★তেরোঃ-
সদাচারণ করা
সন্তানের সাথে সর্বদা সদাচারণ করতে হবে ৷ এসময় তার সাথে যেমন আচরণ করা হবে তেমনটাই তারা শিখবে ৷ তাদেরকে কখনো গাল-মন্দ করা যাবে না ৷ মিথ্যা ছলনা করা যাবে না ৷ কোন ছেলে বা মেয়ের ক্লোজফ্রেন্ড তার বাবা-মা হলে সেই সন্তানের বিপথগামী হওয়া সহজ নয় ৷ পিতামাতার উচিত সন্তানকে বেশি বেশি সময় দেয়া এবং তাদের চিন্তাধারা বুঝার চেষ্টা করা ৷ ★চৌদ্দঃ- প্রতিপালন করা সন্তান উপযুক্ত বয়সে পদার্পণ করার আগ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ পিতাকে বহন করতে হবে ৷ এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পিতার উপর আবশ্যকীয় দায়িক্ত ৷ কোনভাবেই কৃপনতা করা যাবে না ৷ পরিবারের জন্য যেটা খরচ করা হয় সেটা অপচয় হয় না বরং সোয়াবের কারণ হয় ৷
যেমন হাদিসে এসেছে-
عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ دِينَارٍ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ دِينَارٌ يُنْفِقُهُ
عَلَى عِيَالِهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ
يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "
. সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকে যে দীনারগুলো (অর্থ-সম্পদ) খরচ করে তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দীনার হলো- যা সে তার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করে, যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ঘোড়া প্রতিপালনে ব্যয় করে এবং যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী তার সহ-যোদ্ধাদের জন্য খরচ করে।
ইবনে মাজাহ হাঃ2760 মুসলিম ৯৯৪, ১৯৬৬, আহমাদ ২১৮৭৫, ২১৯০০
লেখক,
এইচ এম হুজ্জাতুল্লাহ
অধ্যয়নরত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ৷
No comments
Post a Comment