নামাযের ভিতরে পঠিত দোয়াসমূহ অর্থসহ




নামাযের ভিতরে পঠিত দোয়াসমূহ অর্থসহ

দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয অস্বীকার করা কুফরী একজন ব্যক্তি কালেমা পাঠের পর তার উপর প্রথম ফরয হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আর নামায আদায় করতে কতিপয় দোয়া জানতে হয়  একই বিষয়ের একাধিক দোয়া উল্লেখ করা হলো এর যে কোন একটা পড়লেই হবে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

. তাকবীরে তাহরীমা বলার পর বলতে হয়

সানা পাঠ-

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই।

সানা পাঠ-

اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতাইয়াইয়া, কামা বাআদ্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি; আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিন খাতাইয়াইয়া কামা ইউনাক্কাছ্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ্দানাসি, আল্লাহুম্মাগসিলনি মিন খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি, ওয়াছ্ছালজি, ওয়াল বারাদি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপগুলো থেকে এত দূরে রাখ যেমন পূর্ব ও পশ্চিম পরস্পরকে পরস্পর থেকে দূরে রেখেছ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে (পবিত্র করার জন্য) পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও।

. রুকুতে পড়তে হয়

তাহবীহ পাঠ-

سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ.

উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম। 

অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

দোয়াটি তিনবার বা ততোধিক (পাঁচ/সাতবার) পড়া ভাল।

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) আরেকটি দোয়া পড়তেন বলে এসেছে -

سبحانك اللهمّ ربنا وبحمدك اللهمّ اغفر لي

উচ্চারণ:সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা; আল্লাহুম্মাগফরলি।

অর্থ : হে আল্লাহ্‌! হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ্‌! আমাকে ক্ষমা করে দিন।


. রুকু থেকে উঠার সময় বলতে হয়-

سمع الله لمن حمده
উচ্চারণ : সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্।

অর্থ : সে আল্লাহ শ্রবণ করেছেন, যাঁর জন্য প্রশংসা করা হয়েছে।

. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলতে হয়

দোয়া- ০১

ربنا ولك الحمد
উচ্চারণ : রাব্বানা- ওয়া লাকাল হামদ্।

অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা।

দোয়া- ০২


  اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاءِ ، وَمِلْءُ الْأَرْضِ ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْوَسَخِ 

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু মিলউস সামা-ই, ওয়া মিলউল আরদ্বি, ওয়া মিলউ মা শিই্তা মিন শায়ইন বা’দু। আল্লাহুম্মা তাহহিরনি বিছ্ছালজি ওয়াল বারাদি, ওয়াল মা-ইল বারিদি; আল্লাহুম্মা তাহহিরনি মিনাজ জুনু-বি ওয়াল খাতায়া, কামা য়ুনাক্কিছ ছাওবুল আবয়াদ্বু মিনাল ওয়াসাখ।

অর্থ : হে আল্লাহ্‌! আপনার প্রশংসা আসমান পূর্ণ করে, জমিন পূর্ণ করে, আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে আল্লাহ্‌! আমাকে পবিত্র করুন বরফ দিয়ে, শিলা দিয়ে এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। হে আল্লাহ্‌! আমাকে গুনাহ ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে পবিত্র করুন যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে নির্মল করা হয়। (মুসলিম, হাদিস : ৪৭৬)

. সিজদাহ তে যেয়ে পড়তে হয়-

سبحان ربي الاعلي

উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আলা

অর্থ : আমি আমার সর্বোচ্চ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

. দুই সিজদাহর মাঝে বলতে হয়

দোয়া পাঠ-০১

اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি।

(মুসলিম, মিশকাত)
অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন, আমাকে রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।

দোয়া পাঠ- ০২

 رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ : রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী।

(ইবনু মাজাহ, আবু দাউদ)
অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন

৭. দোয়া কুনূত

দোয়া – ১

ইসলাম

اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

 

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্‌তাগ্‌ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্‌ফারি মুলহিক্ব।

অর্থ :  হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। সম্পর্ক ছিন্ন করি ও পরিত্যাগ করি যারা তোমার অবাধ্যতা করে ৷
হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।

দোয়া – ২

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّمَا قْضَيْتَ، إِنَّهُ لا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মাহদিনী ফী মান হাদাইত। অআ-ফিনী ফীমান আ ফাইত। অতাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইত। অবা-রিকলী ফী মা আত্বাইত। অক্বিনী শারামা ক্বায্বাইত। ফাইন্নাকা তাক্বয্বী অলা য্যুকয্বা আলাইক। ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মাউ ওয়া-লাইত। অলা য়্যাইয্‌যু মান আ’-দাইত। তাবারাকতা রাব্বানা অতাআ’লাইত।  

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত করে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছ। আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে তুমি নিরাপদে রেখেছ। আমার সকল কাজের তত্ত্বাবধান করে আমাকে তাদের দলভুক্ত কর, যাদের তুমি তত্ত্বাবধান করেছ। তুমি আমাকে যা কিছু দান করেছ, তাতে বৰ্কত দাও। আমার ভাগ্যে তুমি যা ফায়সালা করেছ, তার মন্দ থেকে রক্ষা কর। কারণ তুমিই ফায়সালা করে থাক এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা চলে না। নিশ্চয় তুমি যাকে ভালোবাস, সে লাঞ্ছিত হয় না এবং যাকে মন্দ বাস, সে সম্মানিত হয় না। তুমি বৰ্কতময় হে আমাদের প্রভু এবং তুমি সুমহান!


No comments

Powered by Blogger.