তাওহীদের পরিচয় -
শাব্দিক অর্থ
- তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা।
তাওহীদের মূল কথা হচ্ছে – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে অদ্বিতীয়। প্রশংসা এবং এবাদত এর মালিক একমাত্র তিনিই।
পারিভাষিক অর্থ - ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তাআলাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া
কে তাওহীদ বলা হয়। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা ও ইবাদতের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয়
সত্তা হিসেবে বিশ্বাস এর নামই হলো তাওহীদ।
তাওহীদ
তিন প্রকারঃ-
১. - توحيد
الربوبية
তথা রব বা প্রতিপালক হিসেবে আল্লাহকে
এক মানা :
هو توحيد الله بافعاله তথা
- সমস্ত কাজ কর্ম সম্পাদনে আল্লাহকে এক মানা।
যেমন:- সৃষ্টি করা,রিযিক দেয়া,জীবিত করা,মৃত্যু দেয়া, সর্ব বিষয়ে তদারক করা, বৃষ্টি বর্ষণ করা, আকৃতিদান করা ও প্রতিপালন করা, নিয়ন্ত্রণকারী, তাঁর অনুমতি ব্যতীত কিছুই হয় না এবং তাঁর অনুমতি ও ইচ্ছা ব্যতীত কোনো কিছু সামান্যতম নড়াচড়াও করে না ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ
বলেন,
هَلۡ مِنۡ
خَٰلِقٍ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۚ لَآ إِلَٰهَ
إِلَّا هُوَۖ فَأَنَّىٰ تُؤۡفَكُونَ
আল্লাহ ব্যতীত
এমন কোন
স্রষ্টা আছে
কি, যে তোমাদেরকে
আসমান ও
যমীন থেকে
রিযিক্ব দান
করে? তিনি ব্যতীত
সত্য কোন
উপাস্য নেই।
অতএব, তোমরা
কিভাবে ( তাঁর
তাওহীদ থেকে ) ফিরে যাচ্ছ ?
( ফাতির ৩ )
তিনি আরো
বলেন,
إِنَّ ٱللَّهَ
هُوَ ٱلرَّزَّاقُ ذُو ٱلۡقُوَّةِ ٱلۡمَتِينُ
নিশ্চয় মহান আল্লাহই একমাত্র রিযিক্বদাতা, মহাশক্তিমান এবং পরাক্রান্ত। ( যারিয়াত
৫৮ )
তিনি আরো
বলেন,
يُدَبِّرُ
ٱلۡأَمۡرَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ إِلَى ٱلۡأَرۡضِ
“তিনি আকাশ
থেকে পৃথিবী
পর্যন্ত সবকিছু
পরিচালনা করেন
( সুরা সাজদাহ-৫ )
আমাদের অবস্থা-
1-
রিযিক
নিয়ে খুব পেরেশান
হয়ে পড়া
2- দুনিয়ার প্রতি মোহে
পড়ে আখেরাতকে ভুলে
যাওয়া
3- তাকদীরের প্রতি আস্থা
কমে যাওয়া
এসব মূলত
তাওহীদের জ্ঞান না
থাকার কারণেই হচ্ছে
।
২. توحيد
الألوهية
বা ইলাহ বা উপাস্য হিসাবে আল্লাহকে এক মানা:
উলুহীয়াত অর্থ ইবাদত। الإله অর্থ মাবুদ। এ জন্যই এ প্রকার তাওহীদকে تَوْحِيْدُ
الْعِبَادَةِ বলেও নামকরণ করা হয়।
هو
توحيد الله بالعبادة অর্থ –আল্লাহকে এক জেনে তাঁরই ইবাদত করাকে
توحيد الألوهية
বলে ।
অথবা,
সকল প্রকার ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য খাসভাবে সম্পন্ন
করাকে توحيد الألوهية বলা হয়।
যেমন - একমাত্র আল্লাহই এককভাবে ইবাদত পাওয়ার যোগ্য, এতে তাঁর কোনো অংশীদার নেই। স্বলাত,সিয়াম,হজ্জ
,যাকাত , দান-সাদকাহ,যবাহ
করা,নযর
মানা,বিপদ মুক্তির
সাহায্য কামনা করা,
কাউকে সাহায্য করা,সালাম
দেয়া বা কারো
সাথে ভালো আচরণ
করা ইত্যাদি সবকিছুই
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির
জন্য করতে হবে,কোন
মানুষকে দেখানো বা
খুশি করার জন্য
নয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন
وَمَآ
أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ
তাদেরকে কেবলমাত্র
এই নির্দেশ
করা হয়েছে
যে, তারা খাঁটি
বিশ্বাসের সহিত
এবং একনিষ্ঠভাবে
আল্লাহ্র ইবাদত করবে
( বাইয়্যেনাহ-৫ )
ইবাদত কাকে বলে ?
العبادة শব্দের আভিধানিক অর্থ নত হওয়া, বশীভুত হওয়া, পদদলিত হওয়া ইত্যাদি।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়াহ
রহ বলেন,
العبادة
اسم جامع لكل ما يحبه الله ويرضاه من الأقوال
والأعمال الظاهرة والباطنة
আল্লাহ তা‘আলা বান্দার যেসব প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কথা ও কাজকে ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, তার নামই ইবাদত।
*আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য,অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়।
তিনি বলেন,
وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ
* مَاۤ اُرِیۡدُ مِنۡهُمۡ مِّنۡ رِّزۡقٍ وَّ مَاۤ اُرِیۡدُ اَنۡ
یُّطۡعِمُوۡنِ * اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الۡقُوَّۃِ
الۡمَتِیۡنُ
আমি জিন এবং মানবকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছে কোনো রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং প্রবল শক্তিধর ও পরাক্রমশালী।
( সূরা যারিয়াত: ৫৬-৫৮ )
৩. توحيد
الاسماء والصفات
তথা-আল্লাহ্র সুন্দরতম নামসমূহ এবং গুণাবলীর ক্ষেত্রে এক মানা:
هو الايمان بكل
ما ورد في القران الكريم والاحاديث الصحيحة من اسماء الله وصفاته التي وصف بها
نفسه او وصفه بها رسوله صلي الله عليه وسلم علي الحقيقة
অর্থ- আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে আল-কুরআনুল কারিম ও সহীহ হাদীস সমূহে যাহা আল্লাহ স্বয়ং ও তাঁর রাসূল সা বর্ণনা করেছেন,তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করাকে توحيد
الاسماء والصفات বলে।
*আল্লাহ নিজের জন্য যা সাব্যস্ত করেছেন, তাতে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, তার ধরণ বর্ণনা এবং কোন রূপ উদাহরণ পেশ করা ব্যতীত আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করার মাধ্যমেই এ তাওহীদ বাস্তবায়ন হতে পারে।
সুতরাং আল্লাহ নিজেকে যে নামে পরিচয় দিয়েছেন বা নিজেকে যে গুণাবলীতে গুণান্বিত করেছেন, তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করা আবশ্যক।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَلِلَّهِ
ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ
আর আল্লাহ্র রয়েছে সুন্দরতম
নামসমূহ। অতএব, সেগুলির মাধ্যমেই
তাঁকে ডাকো
।
(আ'রাফ ১৮০)
এই নামসমূহ
এবং গুণাবলীতে
কোনোরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা
যাবে না
এবং এগুলির
কল্পিত কোনো
আকৃতি যেমন
স্থির করা
যাবে না, তেমনি কোনো
সৃষ্টির সাথে
সেগুলির কোনোরূপ
সাদৃশ্য বিধানও
করা চলবে
না। আমাদেরকে
আরো বিশ্বাস
করতে হবে
যে, মহান আল্লাহ্র মত আর
কেউ নেই।
আল্লাহ বলেন,
لَيۡسَ
كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ
কোন কিছুই
তাঁর অনুরূপ
নয়। তিনি
সর্বশ্রোতা এবং
সর্বদ্রষ্টা।
( শূরা-
১১ )
তাওহীদের মর্যাদা
আল্লাহ তাআলা
এরশাদ করেছেন,
الَّذِينَ
آَمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ
وَهُمْ مُهْتَدُونَ
‘‘যারা ঈমান
এনেছে এবং
ঈমানকে জুলুম ( শিরক )এর
সাথে মিশ্রিত
করেনি তাদের জন্যই
রয়েছে শান্তি
ও নিরাপত্তা।
( আনআম : ৮২ )
সাহাবী উবাদা
ইবনে সামেত রা. থেকে বর্ণিত
আছে, তিনি বলেন, রাসূল স. এরশাদ করেছেন,
من شهد أن لا
اله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله وأن عيسى عبد الله ورسوله
وكلمته ألقاها إلى مريم وروح منه، والجتة حق والنار حق أدخله الله الجنة على ما
كان من العمل.
যে ব্যক্তি
এ সাক্ষ্য
দান করল
যে, আল্লাহ ছাড়া
কোন ইলাহ
নেই। তিনি
একক। তাঁর
কোন শরিক
নেই। মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
তাঁর বান্দা
ও রাসূল।
ঈসা ( আ
) আল্লাহর বান্দা
ও রাসূল।
তিনি তাঁর
এমন এক
কালিমা যা
তিনি মরিয়াম
(
আ ) এর
প্রতি প্রেরণ
করেছেন এবং
তিনি তাঁরই
পক্ষ থেকে
প্রেরিত রুহ
বা আত্মা।
জান্নাত সত্য
জাহান্নাম সত্য। সে
ব্যক্তিকে আল্লাহ
তাআলা জান্নাত
দান করবেন, তার আমল
যাই হোক
না কেন।
( বুখারি ও মুসলিম )
সাহাবী ইতবানের
হাদিসে বর্ণিত
আছে, ইমাম বুখারি
ও মুসলিম
হাদিসটি সংকলন
করেছেন,
فإن الله حرم
على النار من قال لا إله إلاالله يبتغى بذلك وجه الله
আল্লাহ তা’আলা এমন ব্যক্তির
উপর জাহান্নামের
আগুন হারাম
করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি
আল্লাহর সন্তুষ্টি
লাভের উদ্দেশ্যে
লা- ইলাহা
ইল্লাল্লাহ বলেছে।
প্রখ্যাত সাহাবী
আবু সাঈদ
খুদরী ( রা )
রাসূল সা. থেকে বর্ণনা
করেছেন, তিনি
এরশাদ করেছেন, মূসা আ. বললেন,
يارب علمني
شيئا أذكرك وأدعوك به قال: قل يا موسى لا إله إلا الله، قال: كل عبادك يقولون هذا؟
قال يا موسى لو أن السموات السبع وعامرهن
غيري والأرضين السبع في كفة ولا إله إلاالله فى كفة مالت بهن لا إله إلا الله.
(رواه ابن حبان
والحاكم وصححه)
হে আমার
রব, আমাকে এমন
জিনিস শিক্ষা
দিন যা
দ্বারা আমি
আপনাকে স্মরণ
করবো এবং
আপনাকে ডাকবো।
আল্লাহ বললেন, ‘হে মূসা, তুমি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ
বলো। মূসা
বললেন, ‘‘আপনার
সব বান্দাই
তো এটা
বলে।’’ তিনি
বললেন, ‘‘হে
মূসা, আমি
ব্যতীত সপ্তাকাশে
যা কিছু
আছে তা, আর সাত
তবক যমীন
যদি এক
পাল্লায় থাকে
আরেক পাল্লায়
যদি শুধু
লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহ থাকে, তাহলে ‘লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহ’ এর
পাল্লাই বেশী
ভারী হবে।
( ইবনে হিববান, হাকিম )
বিখ্যাত সাহাবী
আনাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত
আছে, তিনি বলেছেন, ‘আমি রাসূল
স. কে
এ কথা
বলতে শুনেছি,
قال الله تعالى
يابن آدم لو أتيتني بقراب الأرض خطايا ثم لقيتني لا تشرك بى شيئا لأتيتك بقرابها
مغفرة.
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘‘হে আদম সন্তান, তুমি দুনিয়া ভর্তি গুনাহ নিয়ে যদি আমার কাছে হাজির হও, আর আমার সাথে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করো, তাহলে আমি দুনিয়া পরিমাণ মাগফিরাত নিয়ে তোমার দিকে এগিয়ে আসবো।
( তিরমিজী,তিনি এটাকে হাসান বলেছেন )
তাওহীদের
ফযীলত
তাওহীদের উপরে
প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি
বিনা হিসেবে
জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন,
إِنَّ
إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ
الْمُشْرِكِينَ
‘‘নিশ্চয়ই
ইবরাহীম ছিলেন
একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর
হুকুম পালনকারী
একটি উম্মত
বিশেষ। এবং
তিনি মুশরিকদের
অন্তর্ভূক্ত ছিলেন
না।
( নাহলঃ১২০
)
সফল মুমিনদের গুণাবলী বর্ণনায় তিনি এরশাদ করেছেন,
وَالَّذِينَ
هُمْ بِرَبِّهِمْ لَا يُشْرِكُونَ
আর যারা
তাদের রবের
সাথে শিরক
করে না।
( মুমিনুনঃ ৫৯ )
ইবনে আববাস
রা. রাসূল সা. থেকে আমাদের
কাছে বর্ণনা
করেছেন যে, রাসূল সা. এরশাদ করেছেন,
عرضت علي الأمم
فرأيت النبي ومعه الرهط والنبي ومعه الرجل والرجلان والنبي وليس معه أحد، إذ رفع
لي سواد عظيم، فظننت أنهم أمتي فقيل لي هذا موسى وقومه، فنظرت فإذا سواد عظيم،
فقيل لي : هذه أمتك، ومعهم سبعون ألفا يدخلون الجنة بغير حساب ولا عذاب.
আমার সম্মুখে
সমস্ত জাতিকে
উপস্থাপন করা
হলো। তখন
আমি এমন
একজন নবীকে
দেখতে পেলাম
যার সাথে
অল্প সংখ্যক
লোক রয়েছে।
এরপর আরো
একজন নবীকে
দেখতে পেলাম
যার সাথে
মাত্র দু’জন
লোক রয়েছে।
আবার এমন
একজন নবীকে
দেখতে পেলাম
যার সাথে
কোন লোকই
নেই। ঠিক
এমন সময়
আমার সামনে
এক বিরাট
জনগোষ্ঠী পেশ
করা হলো।
তখন আমি
ভাবলাম, এরা
আমার উম্মত।
কিন্তু আমাকে
বলা হলো
এরা হচ্ছে
মূসা আ. এবং
তাঁর জাতি।
এরপর আরো
একটি বিরাট
জনগোষ্ঠীর দিকে
আমি তাকালাম।
তখন আমাকে
বলা হলো, এরা আপনার
উম্মত। এদের
মধ্যে সত্তুর
হাজার লোক
রয়েছে যারা
বিনা হিসেবে
এবং বিনা
আযাবে জান্নাতে
প্রবেশ করবে।
একথা বলে
তিনি দরবার
থেকে উঠে
বাড়ীর অভ্যন্তরে
চলে গেলেন।
এরপর লোকেরা
ঐ সব
ভাগ্যবান লোকদের
ব্যাপারে বিতর্ক
শুরু করে
দিলো। কেউ
বললো, তারা
বোধ হয়
রাসূল সা. এর সহচার্য
লাভকারী ব্যক্তিবর্গ।
আবার কেউ
বললো, তারা
বোধ হয়
ইসলাম পরিবেশে
অথবা মুসলিম
মাতা-পিতার
ঘরে জন্মগ্রহণ
করেছে আর
আল্লাহর সাথে
তারা কাউকে
শরিক করেনি।
তারা এ
ধরনের আরো
অনেক কথা
বলাবলি করলো।
অতঃপর রাসূল
সা. তাদের
মধ্যে উপস্থিত
হলে বিষয়টি
তাঁকে জানানো
হলো। তখন
তিনি বললেন,
هم الذين لا
يسترقون ولا يتطيرون ولا يكتون وعلى ربهم يتوكلون
“তারা হচ্ছে
ঐ সব
লোক যারা
ঝাড়-ফুক
করে না।
পাখি উড়িয়ে
ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করে
না। শরীরে
সেক বা
দাগ দেয়
না। আর
তাদের রবের
উপর তারা
ভরসা করে।“একথা শুনে
ওয়াকাশা বিন
মুহসিন দাড়িয়ে
বললো, আপনি
আমার জন্য
দোয়া করুন
যেন আল্লাহ
তাআলা আমাকে
এই সৌভাগ্যবান
ব্যক্তিদের দলভূক্ত
করে নেন।
তিনি বললেন, আমি দোয়া
করলাম, ‘‘তুমি
তাদের দলভুক্ত’’। অতঃপর অন্য
একজন লোক
দাড়িয়ে বললো, আল্লাহর কাছে
আমার জন্যও
দোয়া করুন
যেন তিনি
আমাকেও তাদের
দলভুক্ত করে
নেন। তিনি
বললেন, ‘‘তোমার
পূর্বেই ওয়াকাশা
সে সুযোগ
নিয়ে গেছে।’’
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওহীদের সটিক জ্ঞান দান করুন। আমিন
লেখক.
এইচ.এম.হুজ্জাতুল্লাহ
অধ্যয়নরত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া।
তারিখ-০৯/০৮/২০২১
No comments
Post a Comment