একজন প্রকৃত মুমিনের শত্রু কারা ?
একজন প্রকৃত মুমিনের শত্রু কারা ?
একজন মানুষ যখন মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তখন তাকে
ঈমান থেকে দূরে রাখার জন্য পাঁচ প্রকার শত্রু কাজ করে। মুমিনের কাঙ্খিত স্থাপন
জান্নাত থেকে বিতারিত করার সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করে। যাতে মুমিন বান্দা আল্লাহর প্রিয়
না হতে পারে। আজকের আলোচনায় একজন মুমিনের শত্রæ কারা এবং তাদের পরিচয় কী?
নিম্নে তাদের বর্ণনা দেয়া হবে ইনশা আল্লাহ
১. ইবলিশ বা শয়তান
শয়তান হলো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
اِنَّ
الشَّیۡطٰنَ لِلۡاِنۡسَانِ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ
নিশ্চয় শয়তান মানুষের
প্রকাশ্য দুশমন’।
সূরা ইউসুফ, আয়াত
নং ০৫
আদম আ. কে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করার পর ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা আদমকে সিজদাহ কর তখন ইবলিশ ব্যতীত সবাই সিজদাহ করলো। ফলে সে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে জান্নাত থেকে বিতারিত হয়। তখন সে প্রতিজ্ঞা করে যে, বনী আদমকে সে জাহান্নামের প্রবেশ করাবে।
قال فَاخۡرُجۡ
مِنۡهَا فَاِنَّکَ رَجِیۡمٌ ﴿ۚۖ۷۷﴾ وَّ اِنَّ عَلَیۡکَ لَعۡنَتِیۡۤ اِلٰی
یَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿۷۸﴾ قَالَ رَبِّ فَاَنۡظِرۡنِیۡۤ اِلٰی یَوۡمِ
یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۷۹﴾ قَالَ فَاِنَّکَ مِنَ الۡمُنۡظَرِیۡنَ ﴿ۙ۸۰﴾
اِلٰی
یَوۡمِ الۡوَقۡتِ الۡمَعۡلُوۡمِ ﴿۸۱﴾ قَالَ فَبِعِزَّتِکَ لَاُغۡوِیَنَّهُمۡ
اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۸۲﴾ اِلَّا عِبَادَکَ مِنۡهُمُ الۡمُخۡلَصِیۡنَ
﴿۸۳﴾ قَالَ فَالۡحَقُّ ۫ وَ الۡحَقَّ اَقُوۡلُ ﴿ۚ۸۴﴾ لَاَمۡلَـَٔنَّ
جَهَنَّمَ مِنۡکَ وَ مِمَّنۡ تَبِعَکَ مِنۡهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۸۵﴾
তিনি বললেন, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও, কেননা নিশ্চয় তুমি বিতাড়িত। আর নিশ্চয় তোমার উপর আমার লা'নত থাকবে, কর্মফল দিন পর্যন্ত।সে বলল, হে আমার রব! অতএব আপনি আমাকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দিন, যে দিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।তিনি বললেন, তাহলে তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলে— নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত। সে বলল, আপনার ক্ষমতা-সম্মানের শপথ! অবশ্যই আমি তাদের সবাইকে পথভ্ৰষ্ট করব, তবে তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ব্যতীত। আল্লাহ বললেন, ‘এটি সত্য আর সত্য-ই আমি বলি| অবশ্যই তোমার দ্বারা ও তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে তাদের সবার দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।
সূরা সোয়াদ, আয়াত নং ৭৭-৮৫
তিনি অত্র বলেন,
قَالَ
فَاهۡبِطۡ مِنۡهَا فَمَا یَکُوۡنُ لَکَ اَنۡ تَتَکَبَّرَ فِیۡهَا فَاخۡرُجۡ
اِنَّکَ مِنَ الصّٰغِرِیۡنَ ﴿۱۳﴾ قَالَ اَنۡظِرۡنِیۡۤ اِلٰی یَوۡمِ
یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۱۴﴾ قَالَ اِنَّکَ مِنَ الۡمُنۡظَرِیۡنَ ﴿۱۵﴾ قَالَ
فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَهُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ
﴿ۙ۱۶﴾ ثُمَّ لَاٰتِیَنَّهُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِهِمۡ
وَ عَنۡ اَیۡمَانِهِمۡ وَ عَنۡ شَمَآئِلِهِمۡ ؕ وَ لَا تَجِدُ اَکۡثَرَهُمۡ
شٰکِرِیۡنَ ﴿۱۷﴾ قَالَ اخۡرُجۡ مِنۡهَا مَذۡءُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا ؕ لَمَنۡ
تَبِعَکَ مِنۡهُمۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنۡکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۸﴾
তিনি বললেন, ‘সুতরাং তুমি এখান থেকে নেমে যাও। তোমার এ অধিকার নেই যে, এখানে তুমি অহঙ্কার করবে। সুতরাং বের হও। নিশ্চয় তুমি লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত’।
সে বলল, ‘সেদিন পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন,
যেদিন তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে’। তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত’। সে বলল, আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, সে কারণে অবশ্যই অবশ্যই আমি আপনার সরল পথে মানুষের জন্য বসে থাকব। তারপর অবশ্যই
আমি তাদের কাছে আসব তাদের সামনে থেকে ও তাদের পিছন থেকে, তাদের ডানদিক থেকে ও তাদের বাম দিক থেকে এবং আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন
না।
তিনি বললেন, ‘তুমি এখান থেকে বের হও লাঞ্ছিত বিতাড়িত অবস্থায়।
অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে যে তোমার অনুসরণ করবে, আমি তোমাদের সবাইকে
দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।
সূরা আরাফ, আয়াত নং ১৩-১৮
সুতরাং শয়তানের চক্রান্ত অত্যান্ত সূক্ষè ও কঠিন। মুমিন বান্দাকে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে রাখার জন্য শয়তানের চক্রান্ত সর্বদা চলমান। যেমন হাদিসে এসেছে
عن
أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعاً يَعْقِدُ
الشيطان على قَافِيَةِ رأسِ أحدِكم، إذا هو نام، ثلاث عُقَدٍ، يَضْرِب على كل
عُقْدَةٍ عليك لَيلٌ طويل فَارْقُدْ، فإن
استيقظ، فذكر الله تعالى انحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فإن تَوضِّأ، انْحَلّتْ عُقدَةٌ، فإن
صلى، انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّها، فأصبح نشيطا طَيِّبَ النفس، وإلا أصبح خَبِيثَ
النَّفْس كَسْلَان متفق عليه
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে
মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন) তার
গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে
এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত,
অতএব তুমি ঘুমাও।’ অতঃপর যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকির করে,
তাহলে একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি ওযু করে, তবে তার আর একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি নামায পড়ে, তাহলে সমস্ত গাঁট খুলে যায়। আর তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। নচেৎ সে
সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।
বুখারী ও মুসলিম
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শয়তানের চক্রান্ত থেকে বেচে থাকার তাওফীক
দিন। আমিন।
২. নফসে আম্মারা
মানুষের নফস দুই প্রকার। এক-নফসে মুতমাইন্না, দুই-নফসে আম্মারা। নফসে মুতমাইন্না
একজন মুমিনকে সর্বদা ভালো কাজের আদেশ করে। তাঁকে জান্নাতের কাজে সদা ব্যস্ত রাখে। আর
নফসে আম্মারা যা অন্তরের মধ্যে কুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করে। অন্যায় ও অশ্লীলতার দিকে আহবান
করে। কিন্তু নফসে আম্মারা মুমিন ব্যক্তির কোন ক্ষতি করতে পারে না।
যেমন আল কুরআনে নফসে আম্মারা সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে , ইউসুফ আ. বলেন
وَ
مَاۤ اُبَرِّیٴُ نَفۡسِیۡ ۚ اِنَّ النَّفۡسَ لَاَمَّارَۃٌۢ بِالسُّوۡٓءِ اِلَّا
مَا رَحِمَ رَبِّیۡ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
আর আমি নিজকে নির্দোষ মনে করিনা, কেননা নিশ্চয় মানুষের নাফস খারাপ কাজের নির্দেশ দিয়েই থাকে, কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার রব দয়া করেন।
নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরা ইউসুফ, আয়াত নং ৫৪
নফসে আম্মরা মুমিনের গোপন শত্রæ যা সর্বদা তাকে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। সফল সেই ব্যক্তি যে তার
নফসকে পরিশুদ্ধ রাখতে পারবে। নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।
আল্লাহ তায়ালা বলে
وَ
اَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَ نَهَی النَّفۡسَ عَنِ الۡهَوٰی
আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয়
করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজকে বিরত রাখে,
فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ هِیَ الۡمَاۡوٰی
নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।
m~iv bvwhqvZ,
AvqvZ bs 40 I 41
wZwb Av‡iv
e‡jb,
قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىهَا ۪ۙ
নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে তাকে পরিশুদ্ধ করেছে।
সূরা আশ-শামস, আয়াত নং ০৯
আজকের পৃথিবীতে আমরা যে মারা-মারি, কাটাকাটি দেখতে পাচ্ছি তা মূলত নফসে আম¥রার কারণেই হচ্ছে। মানুষ তার প্রবৃত্তির চাহিদা মেটাতে জঘণ্য থেকে জঘণ্যতর কাজ করছে। তাই সর্বদা নফসে আম্মারার অনুসরণ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নফসে আল্লাহর অনুগত করতে হবে। যাতে করে আমরা ইহকল ও পরকালে সফলতা অর্জন করতে পারি।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ مَالٌ وَّ لَا بَنُوۡنَ
‘যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে
না’।
اِلَّا
مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ
সে দিন উপকৃত হবে শুধু সে, যে আল্লাহর কাছে আসবে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ নিয়ে।
m~iv Avk-ïAvÕiv,
AvqvZ bs 88 I 89
wZwb Av‡iv
e‡jb,
یٰۤاَیَّتُهَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ﴿٭ۖ۲۷﴾ ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّکِ رَاضِیَۃً مَّرۡضِیَّۃً ﴿ۚ۲۸﴾ فَادۡخُلِیۡ فِیۡ عِبٰدِیۡ ﴿ۙ۲۹﴾ وَ ادۡخُلِیۡ جَنَّتِیۡ
হে প্ৰশান্ত আত্মা! , তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে , অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও , আর আমার জান্নাতে প্ৰবেশ কর।
m~iv evjv`, AvqvZ bs 27-30
এখানে মুমিনদের রূহকে ‘আন-নাফসুল মুতমায়িন্নাহ’
বা প্রশান্ত আত্মা বলে সম্বোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ এ আত্মা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট
এবং আল্লাহ তা'আলাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। কেননা, বান্দার সন্তুষ্টির দ্বারাই বোঝা যায় যে, আল্লাহ তার
প্রতি সন্তুষ্ট। আল্লাহ বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট না হলে বান্দা আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট
হওয়ার তাওফীকই পায় না। এমনি আত্মা মৃত্যুকালে মৃত্যুতেও সন্তুষ্ট ও আনন্দিত হয়।
Avjøvn Zvqvjv
Avgv‡`i‡K Zvui wcÖq ev›`v‡`i AšÍf©~³ nIqvi ZvIwdK `vb Kiæb| Avwgb|
৩. কাফের
ও মুনাফিকরা
কাফের এর পরিচয়: কাফির এর শাব্দিক অর্থ অবিশ^াসী, অস্বীকারকারী। পরিভাষায়, কোনো ব্যক্তি যদি ইসলামের কোনো মৌলিক বিষয়ে অবিশ^াস করলে তাকে কাফির বলে।
মুনাফিক এর পরিচয়: নিফাক এর শাব্দিক অর্থ ভন্ডামী, কপটতা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা। অন্তরে এক রকম ভাব রেখে বাইরে এর বিপরীত অবস্থা প্রকাশ করা। পরিভাষায়, অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলাম স্বীকার করাকে নিফাক বলে। যারা এরুপ করে তাদেরকে মুনাফিক বলে।
একজন মুমিন তাঁর সাধ্যানুযায়ী কাফির ও মুনাফিকদের সাথে সংগ্রাম করবে। অন্যথায় তাঁর ঈমান বিপদের সম্মুখীন হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
یٰۤاَیُّهَا
النَّبِیُّ جَاهِدِ الۡکُفَّارَ وَ الۡمُنٰفِقِیۡنَ وَ اغۡلُظۡ عَلَیۡهِمۡ ؕ وَ
مَاۡوٰىهُمۡ جَهَنَّمُ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۷۳﴾
হে নবী, কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের উপর কঠোর হও, আর তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম; আর তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান।
সূরা তাওবা, আয়াত নং ৭৩
কাফেররা হলো মুমিনদের প্রকাশ্য শত্রæ। তারা পৃথিবী থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের নিশানা মুছে দেয়ার জন্য সদা ব্যস্ত। তারা কখনো মুসলিমদের কল্যাণ কামনা করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। মহান আল্লাহ তাদের থেকে মুসলিমদের সতর্ক করেছেন। কোন কাফেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
یٰۤاَیُّهَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَهُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ
بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّهٗ
مِنۡهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۱﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে
বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে
কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করলে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে
হেদায়াত দেন না।
m~iv gv‡q`v, AvqvZ bs 51
Avi gybvwdKiv
n‡jv gywgb‡`i †Mvcb kÎæ hv‡`i wPwüZ Kiv I Zv‡`i lohš¿ †_‡K wbivc` _vKv KwVb| Zviv
g~‡L Bmjvg ¯^xKvi K‡i AšÍ‡i K‡Vvi we‡ivaxZv K‡i| Zviv ivm~j mv. Gi wcQ‡b mvjvZ
Av`vq Ki‡Zv Avevi Kv‡di‡`i mv‡_ wgwjZ n‡q Bmjv‡gi weiæ‡× lohš¿ Ki‡Zv|
Avjøvn Zvqvjv
e‡jb,
وَ
اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ اِذَا خَلَوۡا اِلٰی
شَیٰطِیۡنِهِمۡ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مَعَکُمۡ ۙ اِنَّمَا نَحۡنُ مُسۡتَهۡزِءُوۡنَ
﴿۱۴﴾
আর যখন তারা মুমিনদের সাথে সাক্ষাত
করে, তখন বলে, “আমরা ঈমান এনেছি , আর যখন তারা একান্তে তাদের শয়তানদের সাথে একত্রিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি।আমরা শুধু তাদের
সাথে পরিহাস ক’রে থাকি।
m~iv evKviv,
AvqvZ bs 14
gybvwdKiv
wg_¨vev`x| Gm¤ú‡K© Avjøvn Zvqvjv e‡jb,
وَ
اللّٰهُ یَشۡهَدُ اِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ لَکٰذِبُوۡنَ
ۚ
আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।
m~iv
Avj-gybvwdKzb, AvqvZ bs 01
gybvwdK‡`i
AvjvgZ ev wPü n‡jv :
عَنْ
أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ: «آيةُ المُنافقِ
ثلاثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعدَ أخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ».
مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية: «وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِم
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; (১) কথা
বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে তার
খিয়ানত করে।’’ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, যদিও সে রোযা রাখে
এবং নামাজ পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম (তবু সে মুনাফিক)।’
[বুখারি৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৬০৯৫, মুসলিম ৫৯,
তিরমিযি ২৬৩১, নাসায়ি ৫০২১, আহমদ ৮৪৭০, ৮৯১৩, ১০৫৪২]
gybvwdK‡`i kvw¯Í m¤ú‡K© Avjøvn Zvqvjv e‡jb,
اِنَّ
الۡمُنٰفِقِیۡنَ فِی الدَّرۡکِ الۡاَسۡفَلِ مِنَ النَّارِ ۚ وَ لَنۡ تَجِدَ لَهُمۡ
نَصِیۡرًا ﴿۱۴۵﴾ۙ
নিশ্চয় মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন
স্তরে থাকবে। আর তুমি কখনও তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাবে না।
সূরা আন-নিসা, আয়াত নং ১৪৫
আল্লাহ তায়ালা কাফির ও মুনাফিকদের চক্রান্ত থেকে মুমিনদের বেচে থাকার তাওফিক দিন। আমিন।
৪. প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআ’ত
নিজ প্রবৃত্তির অনুসারী ও বিদআ’তী মুমিনদের চিরশত্রæ। কারণ নিজ প্রবৃত্তির অনুসারী ধর্ম মানে না। মন যা চায় তাই করে। বৈধ-অবৈধ, হারাম-হালাল বিচার করে না। আর বিদআ’তী ধর্মকে বিকৃতভাবে পালন করে। অথচ বনী আদমকে প্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে মুক্ত করে এক আল্লাহর দাসত্বের দিকে পরিচালিত করার জন্যই যুগে যুগে নবী-রাসূলদের প্রেরণ করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَّ
لِکُلِّ قَوۡمٍ هَادٍ
আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের
জন্য রয়েছে পথ প্রদর্শক।
m~iv Avi-iv`, AvqvZ bs 07
wZwb Av‡iv e‡jb,
وَ لَقَدۡ بَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلًا اَنِ
اعۡبُدُوا اللّٰهَ وَ اجۡتَنِبُوا الطَّاغُوۡتَ ۚ
অবশ্যই আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে রসূল
পাঠিয়েছি এই নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও তাগূত থেকে দূরে
থাক।
m~iv Avb-bvnj, AvqvZ bs 36
wimvjv‡Zi GB gnvb Avjøvn bex gynv¤§` mv. Gi gva¨‡g mgvß K‡i‡Qb|
Avjøvn Zvqvjv e‡jb,
اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ
عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে
পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।
m~iv gv‡q`v, AvqvZ bs 03
we`AvÕ‡Zi gva¨‡g wimvjv‡Zi cwic~Y©Zv‡K A¯^xKvi Kiv nq| we`AvÕZKvix
GUv eySv‡Z Pvq †h, bex gynv¤§` mv. ( bvDhywejøvn ) GB Bev`Z †K eyS‡Z cv‡ibwb ev
Rvb‡Zb bv| A_P we`AvÕZ cÖZ¨vL¨vZ hw`I †mUv A‡bK AvKl©Yxq g‡b nq, Avcbvi Kv‡Q
gRv jv‡M, fv‡jv jv‡M|
‡hgb nvw`‡m G‡m‡Q-
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
“তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ,
প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।”
(আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
“যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন
করল--- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।”
(বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ
নেই, তা বর্জনীয়।”
we`AvZKvix wKqvg‡Zi w`b nvD‡R KvDmv‡ii cvwb
cv‡e bv|
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল
(সা.) বলেন, ‘আমার হাউজের প্রশস্ততা এক মাসের পথের সমান।
তার পানি দুধের চেয়ে সাদা, তার ঘ্রাণ মিশকের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত
এবং তার পানপাত্রগুলো হবে আকাশের তারকার মতো অধিক। তা থেকে যে পান করবে, সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না।’
(বুখারি, হাদিস : ৬৫৭৯)
we`AvÕZ gywgb‡`i Rb¨ AZ¨všÍ fqsKi `ykgb| KviY GKRb †Pvi Zvi KvR‡K cvc g‡b K‡i| †m GKw`b fyj eyS‡Z cv‡i, ZvIev K‡i| GRb¨ Zvi †n`v‡q‡Zi m¤¢vebv i‡q‡Q| wKš‘ we`AvÕZKvix †m Zvi KvR‡K †mvqve g‡b K‡i| †m Zvi KvR fzj g‡b K‡i bv| d‡j KL‡bv ZvIevI K‡i bv| GRb¨ Zvi c‡ÿ †n`v‡qZ cvIqvi m¤¢vebv _v‡K bv| A_P nvw`‡m G‡m‡Q
নবী সা. তাঁর এক খুতবায় বলেছেন :
إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ
اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا
وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي
النَّارِ. رواه مسلم والنسائى واللفظ للنسائى
‘‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের
আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত
প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম
জাহান্নাম।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী)
বিদআতের চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে :
ক. বিদআতকে বিদআত হিসেবে চেনার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না; তবে তা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে মূলনীতিগত ‘আম ও সাধারণ দলীল পাওয়া যায়।
খ. বিদআত সবসময়ই শরীয়তের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও মাকাসিদ
এর বিপরীত ও বিরোধী অবস্থানে থাকে। আর এ বিষয়টিই বিদআত নিকৃষ্ট ও বাতিল হওয়ার সবচেয়ে
বড় প্রমাণ। এ জন্যই হাদীসে বিদআতকে ভ্রষ্টতা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
গ. অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদআত এমন সব কার্যাবলী সম্পাদনের মাধ্যমে হয়ে থাকে
যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবাদের যুগে প্রচলিত ছিল না।
ইমাম ইবনুল জাওযী রহ: বলেন,
البِدْعَةُ عِبارةٌ عَنْ فِعلٍ
لَمْ يَكُنْ فابتُدِعَ
‘বিদআত বলতে বুঝায় এমন কাজকে যা ছিল না, অতঃপর
তা উদ্ভাবন করা হয়েছে’।
[তালবীসু ইবলীস, পৃ: ১৬]
ঘ. বিদআতের সাথে শরীয়তের কোন কোন ইবাদাতের কিছু মিল থাকে। দু’টো ব্যাপারে এ মিলগুলো
লক্ষ্য করা যায়:
প্রথমত : দলীলের দিক থেকে এভাবে মিল রয়েছে যে, কোন একটি ‘আম দলীল কিংবা সংশয় অথবা ধারণার ভিত্তিতে বিদআতটি প্রচলিত হয় এবং
খাস ও নির্দিষ্ট দলীলকে পাশ কাটিয়ে এ ‘আম দলীল কিংবা সংশয় অথবা ধারণাটিকে বিদআতের সহীহ
ও সঠিক দলীল বলে মনে করা হয়।
দ্বিতীয়ত : শরীয়ত প্রণীত ইবাদাতের রূপরেখা ও পদ্ধতির সাথে বিদআতের মিল
তৈরী করা হয় সংখ্যা, আকার-আকৃতি, সময় বা
স্থানের দিক থেকে কিংবা হুকুমের দিক থেকে। এ মিলগুলোর কারণে অনেকে একে বিদআত মনে না
করে ইবাদাত বলে গণ্য করে থাকেন।
Avjøvn Zvqvjv Avgv‡`i‡K we`AvÕZKvix I we`AvÕZx KvR †_‡K `~‡i _vKvi
ZvIwdK w`b| Avwgb|
৫. ব্যক্তি ও দলের অন্ধ তাকলীদ
ব্যক্তি ও দলের তাকলীদ মুমিনদের অন্যতম দুশমন। ব্যক্তি ও দলের অন্ধ তাকলীদ শুরু মূলত সঠিক জ্ঞানের অভাব বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কারণে। বর্তমানে আমাদের মাঝে এটা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিজ ব্যক্তি বা দলকে পছন্দ না করার কারণে অপর মুসলিম ভাইকে ঘৃণা করতেছে বা তার সাথে শত্রæতা করতেছে, যা স্পষ্ট হারাম। অথচ একজন মুমিন কোন ব্যক্তি বা দলের প্রতি এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না যেমন ভাবে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَ
مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَهُمۡ
کَحُبِّ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ ؕ
আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর
সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই;
পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে।
সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৬৫
আফসোসের বিষয় হলো আমরা অনেক সময় উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের মাঝে এমন মনোভাব দেখতে পায় যে, ব্যক্তি বা দলের তাকলীদের কারণে ইসলামের কোন বিধানকে অস্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করে না। ব্যক্তি বা দলকে টিকিয়ে রাখার জন্য কুরআনের আয়াত বা হাদিসের অপব্যাখ্যা করেন। তারা ব্যক্তি বা দলকে দিয়ে ইসলামকে বিশ্লেষণ করে। অথচ ইসলামকে দিয়ে কোন ব্যক্তি বা দলকে বিশ্লেষণ করার কথা ছিল। যতটুকু ইসলামের সাথে মিল নেই তা ত্যাগ করতে হবে এবং যতটুকু ইসলাম অনুযায়ী তা মানতে কোন বাধা নেই। এটাই একজন মুসলিমের চরিত্র হওয়া আবশ্যক। যেমন মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন,
وَ
قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا
আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম।
সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৮৫
কিছু ভাই আছেন যাদেরকে সহীহ হাদিসের কথা বললে তারা সেটা এড়িয়ে চলার জন্য বিভিন্ন অযুহাত পেশ করেন। যেমনটি নবী-রাসূলগণ দাওয়াতের ময়দানে তাঁদের উম্মতের থেকে শুনেছিলেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَ
اِذَا قِیۡلَ لَهُمُ اتَّبِعُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ قَالُوۡا بَلۡ نَتَّبِعُ
مَاۤ اَلۡفَیۡنَا عَلَیۡهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوۡ کَانَ اٰبَآؤُهُمۡ لَا
یَعۡقِلُوۡنَ شَیۡئًا وَّ لَا یَهۡتَدُوۡنَ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তোমরা অনুসরণ কর’, তারা বলে,
‘না, বরং আমরা অনুসরণ করবো তার, যার উপর আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে পেয়েছি’। যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছু বুঝতো
না এবং তারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না, তবুও কি?
m~iv evKviv, AvqvZ bs 170
وَ اِذَا قِیۡلَ لَهُمُ اتَّبِعُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ
قَالُوۡا بَلۡ نَتَّبِعُ مَا وَجَدۡنَا عَلَیۡهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوۡ کَانَ
الشَّیۡطٰنُ یَدۡعُوۡهُمۡ اِلٰی عَذَابِ السَّعِیۡرِ
আর তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তা অনুসরণ কর। তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাতে পেয়েছি তারই অনুসরণ করব। শয়তান যদি
তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের দিকে ডাকে, তবুও কি? (তারা পিতৃ পুরুষদের অনুসরণ করবে?)
সূরা লুকমান, আয়াত নং ২১
প্রকৃত মুসলিম তো সেই ব্যক্তি যে নিঃস্বার্থ ও নিঃসংকোচে আল্লাহ ও নবী মুহাম্মদ সা. এর সকল বিধান মেনে নিবে। কোন ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. এর বিধান এসে গেলে কোন মুমিনের সুযোগ থাকে না যে তা এড়িয়ে চলা বা অস্বীকার করার।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَ
مَا کَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّ لَا مُؤۡمِنَۃٍ اِذَا قَضَی اللّٰهُ وَ رَسُوۡلُهٗۤ
اَمۡرًا اَنۡ یَّکُوۡنَ لَهُمُ الۡخِیَرَۃُ مِنۡ اَمۡرِهِمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ
اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیۡنًا ﴿ؕ۳۶﴾
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন বিশ্বাসী পুরুষ
কিংবা বিশ্বাসী নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ এবং
তাঁর রসূলের অবাধ্য হলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।
m~iv Avnhve, AvqvZ
bs 36
Avjøvn Zvqvjv Zvui
bex mv. Gi Abymi‡b e‡jb,
فَلَا
وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ بَیۡنَهُمۡ
ثُمَّ لَا یَجِدُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِهِمۡ حَرَجًا مِّمَّا قَضَیۡتَ وَ یُسَلِّمُوۡا
تَسۡلِیۡمًا
অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না
যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে,
তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব
না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।
সূরা নিসা, আয়াত নং ৬৫
একজন প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি সকল কিছুর উর্ধ্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথাকে প্রাধান্য দিবে। অন্যথায় সে ঈমানদার হতে পারবে না। কোন প্রকার অযুহাতের আশ্রয় নিবে না। নিজেকে সংশোধন করে নিবে।
পরিশেষে আল্লাহ তায়ালার নিকট আমাদের আবেদন তিনি আমাদেরকে ঈমানের দুশমন এমন সকল কথা ও কাজ থেকে হেফাযত করুন।আমাদের সকল প্রকার ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করুন।
আমিন
No comments
Post a Comment